হৃদয় মিয়ার (২২) বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সোনাগাজী গ্রামে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই তরুণ গত ১২ সেপ্টেম্বর মা–বাবা ও পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাননি।
৩ অক্টোবর শনিবার সকালে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকায় আসেন ওই তরুণ। ওই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশকে জানান। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর কাছ থেকেই ঠিকানা নিয়ে মা–বাবাকে খবর দেওয়া হয়। অবশেষে বিকেলে তাঁদের কাছে ওই তরুণকে তুলে দেয় পুলিশ।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর তাঁর বাবা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলে মানসিক রোগী। বুদ্ধিও তেমন নেই। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর খুবই চিন্তায় ছিলাম। তাঁকে পাওয়ার আশাও ছেড়েই দিয়েছিলাম। এখন হারানো ছেলেকে খুঁজে পেয়ে মনে খুব শান্তি লাগছে।’ ছেলের খোঁজ দেওয়ার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ আরও কয়েকটি স্থানে বাসে করে চলে যান। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে তিনি কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর শহরে আসেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচ বলেন, ওই তরুণ মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ আরও কয়েকটি স্থানে বাসে করে চলে যান। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে তিনি কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর শহরে আসেন। সেখান থেকে শনিবার সকালে মুন্সিরহাট এলাকায় আসেন।
ওসি জানান, তাকে থানায় আনার পর তাঁর কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা এবং মা–বাবার মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর তাঁর মা–বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁদের থানায় আসতে বলা হয়। বিকেলে তাঁরা থানায় পৌঁছালে ওই তরুণকে তাঁদের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
করেসপন্ডেট,৪ অক্টোবর ২০২০