বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ফরিদপুরে দেবিকা ব্যানার্জী (২২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মা বিথিকা ব্যানার্জীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে শেষবার কথা হয় দেবিকার। এ সময় দেবিকা তার মাকে ফোনে বলেন, ‘মা আমাকে নিয়ে যাও, নইলে ও আমাকে মেরে ফেলবে।’
এর এক ঘণ্টা পর দেবিকার স্বামী প্রদীপ ত্রিবেদী ওরফে নন্দ তার শাশুড়িকে ফোন করে জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ দেবিকার মা বিথিকা ব্যানার্জী। তিনি দাবি করেন, ‘তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রদীপ ত্রিবেদীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
১৩ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কলেজপাড়ার শুকুমার ব্যানার্জীর মেঝ মেয়ে দেবিকা ব্যানার্জীর বিয়ে হয় ফরিদপুর জেলার নগরকান্দি থানার তালমা গ্রামের দীলিপ ত্রিবেদীর ছেলে প্রদীপ ত্রিবেদীর। বিয়ের ২৪ দিন পর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় দেবিকার।
দেবিকার বাবা শুকুমার ব্যানার্জী বলেন, ‘খুন করা হয়েছে আমার মেয়েকে। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। আমি ন্যায় বিচার চাই।’
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর থেকে দেবিকার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে কালীগঞ্জে এনে সমাধিস্থ করা হয়।
ফরিদপুরের নগরকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফসার উদ্দীন বলেন, ‘দেবিকার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে।’
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৬:২৫ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬, রোববার
এমআরআর