কথিক প্রেমিকের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় নিজ শিশুসন্তান হাসমীকে দুই সহযোগীকে নিয়ে সোনিয়া বেগম হত্যা করেছে। হত্যার পর শিশুটির মরদেহ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেয় ওই মা।
শনিবার দুপুরে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্যই জানিয়েছেন হাসমীর মা সোনিয়া। খুলনার মহানগর হাকিম ফারুক ইকবাল এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গত ৯ জুন নগরীর আড়ংঘাটা থানার কার্তিককুল এলাকা থেকে হাসমী নামের ৯ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসমীর মা সোনিয়াকে আটক করে র্যাব। গত শুক্রবার রাতে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম খান জানান, পরকীয়ার কারণে গত বছরের নভেম্বর মাসে সোনিয়াকে তালাক দেন হাফিজুর রহমান। এরপর হাসমী বাবা-মা উভয়ের সঙ্গেই থাকত।
গত ৬ জুন হাসমী খেলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ায় থানায় জিডি করেন হাফিজুর। ৯ জুন সকালে ডোবার মধ্যে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ ও হাফিজুরকে খবর দিলে তারা মরদেহ সনাক্ত করেন।
তিনি জানান, পরে এ ঘটনায় হাসমীর বাবা হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে ওই এলাকার মো. হাফিজ, মো. নুরুন্নবী ও মো. রসুলকে আসামি করে আড়ংঘাটা থানায় মামলা করেন।
তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।(সমকাল)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৬:৩০ পিএম, ১০ জুন ২০১৬,শনিবার
এইউ