চাঁদপুর

মায়া চৌধুরীর এমপি বা মন্ত্রী পদে বহাল থাকতে আর বাধা নেই

আওয়ামীলীগ নেতা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে মায়ার এমপি বা মন্ত্রী পদে বহাল থাকতে আর বাধা থাকলো না।

আজ আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। অপরদিকে এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।

এর আগে গত ১৭ হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ এ রিটের শুনানি করে বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর নিয়মানুযায়ী এ রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।

আজ সে আবেদনের ওপর হাইকোর্টের একক বেঞ্চ শুনানি করে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। গত৭ জুলাই রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।

গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই রায়ের পর মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে।

এ অবস্থায় দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনও মন্ত্রী ও এমপি পদে রয়েছেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনূন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।

নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৪:৪৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

এমআরআর

 

 

Share