ঢাকাই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপু বিয়ে করার পরেদিন থেকেই কয়েকটি গণমাধ্যমে মাহির একাধিক বিয়ে সংক্রান্ত কিছু ছবি প্রকাশ হতে থাকে। সেখানে ছবি প্রকাশের পাশাপাশি দাবি করা হয় এর আগেও একাধিকবার মাহির বিয়ে হয়েছে।
ছবি প্রকাশের পর থেকে আলোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। বিষয়টি নজরে এলে নায়িকা মাহি বলেন তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার সংসার ভাঙার জন্য কেউ আমার পিছু লেগেছে।’
নিজের কথা মতো আইনের আশ্রয় নিয়েছেন মাহি। গত শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি। অভিযোগটি তিনি করেন কথিত প্রেমিক ও স্বামী শাওনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রোববার শাওনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বর্তমানে শাওন দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন শাখার সহকারী কমিশনার হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে চিত্রনায়িকা মাহিকে জড়িয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে শাওন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।’
হাফিজুর রহমান আরো বলেন, ‘ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানিয়েছেন মাহির সঙ্গে শাওনের পরিচয় স্কুলজীবন থেকে। তাঁরা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। মাহির সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল বলেও দাবি করেছেন শাওন। তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দাবি করলেও সে বিষয়ে কোনো প্রমাণাদি বা কাগজ দেখাতে পারেননি শাওন।’
ডিবি সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ২২ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। এরপর থেকে ওই যুবক ক্ষুব্ধ হন। তিনি মাহিকে স্ত্রী দাবি করে তাঁর সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর মাহি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে মাহি জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি আপলোড করে তাঁকে শাওন হুমকি দিচ্ছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শাওনকে গ্রেপ্তার করে দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।(এনটিবি)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৭:১২ পিএম, ৩০ মে ২০১৬, সোমবার
এইউ