চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে স্বাস্থবিধী সম্মত সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ হয়েছ।
৩১ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টায় শহরের ৫নং খেয়াঘাটের চর বেপারী বাড়িতে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল। নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে ও বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম বাংলাদেশের কারিগর সহায়তায় এবং সিএনআরএস’র বাস্তবায়নে সর্বমোট ৫৮৪ পরিবারের মধ্য চলমান কর্মসূচির আওতায় শনিবার ১৮৪ জন ভাসমান জেলে পরিবারের মাঝে নগদ অর্থসহ এই সহায়তা প্রধান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন,আমরা অনেকেই মনে করছি করোনা চলে গেছে। কিন্তু না, করোনা সামনে আরো প্রকোট আকার ধারণ করবে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ধাপ সামনে। তাই সরকার আগাম সতর্কতা নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস আগাম সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আমি চাঁদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, আপনি হয়তো শারীরিক ভাবে সামর্থ্যবান তাই করোনাকে ভয় করেন না। কিন্তু আপনার মাধ্যমে এর রোগটি ঘরে প্রবেশ করে শিশু এবং বয়স্কদের আক্রান্ত করলে তাদের কি হবে ভেবে দেখেছেন। তাই আপনারা যারা জীবিকার তাগিদে বাইরে যান তাদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমরাও পৌরসভার পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক কর্মসূচি নিয়েছি। মাস্ক ছাড়া পৌরসভায় কোনো সার্ভিস দেয়া হবে না। কারো যদি মাস্ক কেনার সামর্থ না থাকে তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক দেয়া হবে।
বেদে পরিবারের উদ্দেশ্যে পৌর মেয়র বলেন, আপাদের জীবনমান উন্নত করনে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। আপনাদের জন্যে কিছু করার জন্যে আমরা আন্তরিকতার সাথে ভাবছি। আপনারা যেকোনো প্রয়োজনে সরাসরি পৌরসভা যাবেন, সরাসরি মেয়রের কক্ষে যাবেন। চাঁদপুর পৌরসভা অন্যসকল নাগরীকের মতোই আপনাদের সমান গুরুত্ব দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর খালেদা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কিন্ট্রি ফিসিং বোর্ড সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহালম মল্লিক, মৎস্যজীবী নেতা তসলিম বেপারী, জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আলম (বুলু), চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ও লেখক আশিক বিন রহিম।
আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিএনআরএস’র প্রজেক্ট ফোকাল পারসন মোখলেসুর রহমান সুমন, ফিল্ড ফ্যাসিলেটর আয়েশা সিদ্দিকা, ফিন্যান্স এন এডমিন অফিসার সানজিদা নাছরিন, অক্সফাম রেসপন্স পেন্ডামিক এর প্রজেক্ট কো-অডিনেটর মো. মনিরুজ্জামানা, সিএনআরএস’র ভলেন্টিয়ার রত্না আক্তার, জয় ঘোষ, সামিউল প্রধানিয়া।
উল্লেখ্য এই কর্মসূচির আওতায় সর্বমোট ৫৮৪ পরিবারের মধ্য এই সহায়তা প্রদান করা হয়। ৩০ অক্টোবর সদর উপজেলা রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ৪০০ পরিবারের মাঝে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৪হাজার ৫শ টাকা মোবাইল ব্যংকিংয়ের মাধ্যমে দেয়া হবে। কর্মসূচিতে প্রতিটি পরিবারকে ২বার করে ১৩টি সাবান, ৫ প্যাকেট ডিটারজেন্ট পাউডার, ৮পিস স্যানিটারি ন্যাপকিন, বিভিন্ন সাইজের ১০টি মাস্ক, ঢাকনা ও কলসহ ২০ লিটারের একটি বালতি ও মগ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও নৌকায় আবাসনের জন্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক ১২০ পরিবারকে ২টি লাইফ জ্যাকেট, ১টি বয়া, ৪টি টর্চলাইট প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাস ও নারী নির্যাতন রোধে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচলনা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,৩১ অক্টোবর ২০২০