চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম (বার) বলেছেন, মাস্ক ছাড়া গাড়িতে নিজেও উঠবেন না এবং মাস্ক ছাড়া যাত্রী তুলবেন না। ধারণ ক্ষমতার বাইরে কোন যাত্রী তোলা যাবে না। এ সিট বাদ দিয়ে দিয়ে যাত্রী পরিবহন করবেন। মাথা গুনে গুনে লঞ্চে যাত্রী তুলবেন। লঞ্চ, বাসসহ গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী তুলবেন। করোনার এই ভয়াবহ ঢেউ সামাল দিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার সভাকক্ষে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি একথা বলেন।
পুলিশ আরো সুপার বলেন, সরকার সকল কিছু বিবেচনা করে পুরোদমে লকডাউন দেয়নি কিন্তু করোনাকে প্রতিরোধ করার ব্যাপারে আর যা যা কঠোর বা নির্দেশ, আদেশ কিংবা পরামর্শমূলক তাই করতে বলেছেন। তিনি বলেন, চাঁদপুর যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট। সড়ক, রেল এবং বৃহৎ নৌপথ চাঁদপুর শহরে।
এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব তো বেশিই, তার উপর যাত্রী সাধারনের চাপ। অতএব, করোনা সংক্রমনের মাত্রাও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা বেশি এবং চাঁদপুরে করোনাও দিন দিন বাড়ছে। আমরা আপনাদের সহযোগিতায় এটিকে মোকাবেলা করতে চাই। আসুন আমরা এই সংকট থেকে উত্তরনে যার যার কাজগুলো মনোযোগ দিয়ে সম্পাদন করি।
তিনি আরো বলেন যা করবেন, আজ অথবা কাল থেকেই শুরু করে দেন। আপনি আইন মানলে আমরা কঠোর হবো না। কিন্তু যদি সেটি করেন তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। মনে রাখবেন এই কর্মযজ্ঞ শুধু আমাদের একার নয়। সবাই মিলেই করতে হবে। তবেই আমরা এ থেকে অনেকটা পরিত্রাণ পাবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) কাজী আবদুর রহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নৌ) মোঃ বেলায়ত হোসেন শিকদার, ডিআইও টু মোঃ মনিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, বন্দর কর্মকর্তা উপপরিচালক কায়েছুর রহমান, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শোয়েবুর রহমান, চাঁদপুর জেলা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মোঃ বাবুল মিজি, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মুন্সী প্রমুখ।
মেয়র জিল্লুর রহমান বলেন, ২৮শ’ বৈধ অটোরিক্সা ২ রকমের তথা ২ রঙের থাকবে। রেজিঃ জোড় সংখ্যা সবুজ যেগুলো চলবে জোড় তারিখে এবং বিজোড়গুলো হলুদ এবং সেগুলো চলবে বিজোড় তারিখে। আগামী ৭ দিন। সময় দেয়া হলো রং করার। তিনি বলেন, এর ব্যত্যয় ঘটাবেন তো রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে দিবো। এদিকে মালিক শ্রমিকদের প্রতিনিধিরাও একমত পোষণ করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।
এদিকে এই সভার পরপরই পুলিশ সুপার চেম্বার অব কমার্স, হোটেল মালিক সমিতি, মার্কেট মালিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, পোশাক ব্যবসায়ী ও এদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসেন। সেখানে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে যে গণ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা অনুসরন করে চলবেন। সামনে রমজান, রমজানকে উপলক্ষ করে দাম বৃদ্ধি করবেন না। খাবার দোকানে ভীড় করাবেন,না। এখনের নিয়মমত দোকান খুলবেন এবং বন্ধ করবেন। আপনারা সহযোগিতা করবেন। সবাই যেন ভালো থাকতে পারি সে চেষ্টা করবেন।
এ সময় চেম্বার সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল ঘোষ, হোটেল মালিক সমিতির সেক্রেটারি লালু, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল হক মোরশেদ, মীর শপিং মল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ইয়র্ক ফ্যাশন মালিক মো: শেলিম খান প্রমুখ।
চাঁদপুর প্রতিনিধি,১ এপ্রিল ২০২১