মাশরাফি, তাসকিন ও সানিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছে ভারতীয়রা। যেখানে মিথ্যা অবৈধ বোলিং একশনের দায়ে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন তাসকিন, সাংবাদিক সম্মেলনে কাঁদলেন মাশরাফি। যেখানে সারা দেশ ক্ষোভে ফুটছে আজ, সেখানে ভারতীয় সমর্থকরা ব্যাপারটা নিয়ে অকথ্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। আর বাকিরা তাদের সেই বক্তব্যকে সমর্থন যোগাচ্ছে। যে সব বক্তব্য তারা দিচ্ছে তাদের বক্তব্যই প্রকাশ করার মত নয়।
ভারতীয় সমর্থক দের একজন রাকেশ বনিক তার ফেইসবুকে লিখে ‘ আইসিসির কাছে আবেদন
প্লিজ প্লিজ প্লিজ ছুঁড়ুক বা যাই করুক, তাসকিন আর সানীকে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলিতে খেলতে দেওয়া হোক। যেভাবেই হোক এরা যেন খেলে।
নইলে এই টিমটা এমনিতেও সব ম্যাচ হারবে অমনিতেও সব ম্যাচ হারবে। মাঝখান থেকে চক্রান্ত চক্রান্ত বলে সারা ফেসবুক জুড়ে হেগে মুতে বেড়াবে..’
তার এই পোষ্টটাতে লাইক ও কমেন্ট দিয়ে সহমত প্রকাশ করেছে একশোর ও বেশি মানুষ।
সৌরভ দে নামের আরেক ভারতীত সমর্থকের ভাষ্য ছিল আরো অকথ্য, সে তার ফেইসবুকে বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্য করে লিখে, ‘নামটি তাহার ল্যাংটাদেশ, সেথায় ল্যাংটা জীবের বাস। কথা বলে কাংলা ভাষায়, তাদের নেইকো কোনো কাজ। গরু চুরি না করলে তাদের যায়না পেটে ভাত, ভারতীয়দেরগালি না খেলে তাদের হজম হয় না ভাত। দুনিয়া জুড়ে ভিক্ষা করে নেইকো তাদের লাজ। পাপিস্তানের পা চাটাতাদের দ্বিতীয় প্রধান কাজ। বেইমানের লিস্টে আছে তারা বিশ্বব্যাংকের কাছে, কেউ তাদের দেয়না ঋন, ভিখিরী দেশ বলে। শিক্ষা দীক্ষায় নেইকো রুচি, আল্লা নিয়েই থাকে। গালি গালাজের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পাবে। জাতীয় পোশাক লুঙ্গি তাদের মুখ ভর্তি দাড়ি, ভারত তাদের দয়া না করলে চড়েনা তাদের হাড়ি। তবুও তারা এত বেইমান তর্কে তর্কে থাকে, সুযোগ পেলেই ভারত মাতার সর্বনাশের তালে l’
আরেক ভারতীত মাশরাফিকে ব্যঙ্গ করে লিখে, ‘না হয় একটু ছুড়েই বল করছিল তাই বলে এইভাবে অত্যাচার.. হ্যাংলা টাইগারের চোখে জল এনে দেওয়া উচিত্ হয়নি আই.সি.সির । এমনিতেই এইসমস্ত কুত্তা নামক টাইগারেরা প্রতিবেশী ভারত দেশের উচ্ছিষ্ট খাদ্যসামগ্রী খেয়ে জীবন ধারণ করে । কেঁদো না কাংলা তোমাদের ছানী, পাছকিন নেই তো কি হয়েছে ঘেয়ো ফুস্তাফিজুর তো আছে নাকি । আমি আই.সি.সি কে বকে দেবো আর কাঁদে না ল্যাংটা…’
এমন হাজার হাজার ভারতীয় সমর্থক বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও মাশরাফি তাসকিনদের নিয়ে এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে ফেইসবুকে। যাকে সমর্থন করছে এমন আরো অনেক ভারতীয়।
তাদের এই সব উষ্কানিমূলক বক্তব্যগুলোই প্রমাণ করছে বাংলাদেশ তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার খড়গ নেমে এসেছে তাসকিনদের উপর।