Home / খেলাধুলা / মাশরাফির কঠিন চ্যালেঞ্জ : মার্চে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন

মাশরাফির কঠিন চ্যালেঞ্জ : মার্চে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘সুপার টেন’-এ উঠতে পারলে বাংলাদেশের গ্রুপটা বেশ কঠিন। তবে অধিনায়ক মাশরাফির বিন মুর্তজা আগে ভাবছেন মূল পর্বে ওঠা নিয়েই।

আইসিসি শুক্রবার ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির গ্রুপিং ও সূচি ঘোষণা করে। প্রথম রাউন্ডের ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ওমানের বিপক্ষে। সুপার টেন বা মূল পর্বে উঠতে হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে বাংলাদেশকে।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চে এই আসরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মাশরাফি। সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই থাকবে প্রথম রাউন্ড পেরুনো। আগে থেকেই শুনছিলাম আমাদের গ্রুপে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস থাকতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে ওরা যথেষ্টই কঠিন প্রতিপক্ষ। আমাদের কাজটি সহজ হবে না মোটেও।”

আয়ারল্যান্ড না থাকলে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকতে পারত আফগানিস্তান। উপমহাদেশের কন্ডিশনে আফগানরা আরও কঠিন চালেঞ্জ জানাতে পারত বলে বিশ্বাস অনেকের। তবে অধিনায়ক এটিকে স্বস্তির কিছু বলে মনে করছেন না।

“টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষ বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। সব দলই কাছাকাছি। আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান বলুন বা নেদারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড, বছর জুড়ে অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ওরা। তুলনায় আমরা কম খেলি। আর টি-টোয়েন্টিতে দলগুলোর ব্যবধান খুব সামান্য। নির্দিষ্ট দিনে যে কোনো কিছুই হতে পারে। প্রতিপক্ষ যেই হোক, সেরাটাই খেলতে হবে আমাদের।”

প্রথম রাউন্ড পার হতে পারলেও স্বস্তির জায়গা দেখছেন না মাশরাফি। সুপার টেনে উঠলে দুই নম্বর গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড। এক নম্বর গ্রুপে আছে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও প্রথম রাউন্ড পার হওয়া অন্য দলটি।

অন্য গ্রুপে শেষ তিন বারের চ্যাম্পিয়ন থাকলেও নিজেদের সম্ভাব্য গ্রুপকেই কঠিন ভাবছেন মাশরাফি।

“অন্য গ্রুপে তিন চ্যাম্পিয়ন আছে, কিন্তু আমাদের গ্রুপে উপমহাদেশের দুটি দল। অস্ট্রেলিয়া নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডও দুর্দান্ত। উপমহাদেশে খেলা হলে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে নিশ্চয়ই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকাকেও পেতে চাইবেন। আমাদের জন্য আমাদের গ্রুপটাকেই একটু কঠিন মনে হচ্ছে আমার।”

বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ৯ মার্চ; প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। ১১ মার্চ আয়ার‌ল্যান্ড ও ১৩ মার্চ ওমানের বিপক্ষে খেলবে মাশরাফিরা। এই রাউন্ডে বাংলাদেশের সব ম্যাচ ধর্মশালায়।

সুপার টেনে উঠতে পারলে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১৬ মার্চ, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ বেঙ্গালুরুতে। ২৩ মার্চ একই মাঠে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত।

সুপার টেনের শেষ ম্যাচে কলকাতায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, শুক্রবার

এমআরআর