মালয়েশিয়া বিএনপির নবগঠিত কমিটির আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন একই কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মাদ শহীদ উল্লাহ। একই সঙ্গে এ কমিটিকে পুনঃর্বিবেচনা করারও আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া সময় রাত ১০ টায় নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ বলেন, “নবগঠিত এ কমিটি জাতীয়তাবাদী দলের কমিটি হতে পারে না কারণ এ কমিটিতে স্থান পায়নি বিভিন্ন জেলা কমিটির কোন সদস্য। একে মূল কমিটি না বলে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে গঠিত পকেট কমিটি বলা যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, বিগত এবং বর্তমান সময়ে এসব নেতাদের প্রধান ব্যবসায়িক পার্টনার আওয়ামী লীগ নেতারা। দলের মধ্যে গ্রুপিং, মারামারি, দালাল দিয়ে শ্রমিক আটক সহ দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিও করেছেন তারা।
এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “২০১৪ সালের ২০ আগস্ট মালয়েশিয়া শাখা বিএনপির ১৬১ সদস্যের প্রস্তাবিত কমিটি স্বহস্তে গ্রহণ এবং অনুমোদনের পর সেই কমিটি বিলুপ্ত না করে নতুন কমিটি কিভাবে অনুমোদন দিয়েছেন আমাদের জ্ঞানে আসে না।”
নবনির্বাচিত কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন বলেন, “এতদিন থেকে মালয়েশিয়ায় যারা বিএনপির বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাদের মূল্যায়ন না করে একেবারে অপরিচিত লোকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যারা প্রাণ দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে ভালবাসে এই কমিটিতে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। যারা প্রবাসে থেকে কষ্টে অর্জিত অর্থ ব্যয় করে জাতীয়তাবাদী দলকে চাঙ্গা করে রাখে এবং বাংলাদেশে থেকে যে সকল নেতা নেত্রী আসে মালয়েশিয়াতে তাদের আমন্ত্রণ জানাতে যারা দৌড়ে যান এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য, তারা বর্তমান কমিটিতে অবস্থান পায়নি, পেয়েছে আত্মীয়তা, এলাকা এবং স্বজনপ্রীতি। যাদেরকে কখনো কোন মিটিং এ দেখতে পাইনি, তারা হচ্ছে বর্তমান কমিটির কর্নধার।”
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. আরিফ, সোহেল রানা মিল্কি, কামাল উদ্দিন ানা, খোরশেদ আলম, মো. মাসুদ রানা, জহির আহমেদ, শাহিন আহমেদ হাওলাদার, বাদল আহমেদ, ইমন হাসান, শওকত সর্দার, নাইম জাহাঙ্গীর, মহসিন পাটোয়ারী, মনসুর আলী প্রমুখ।
বশির আহমেদ ফারুক, মালয়েশিয়া করেসপন্ডেন্ট || আপডেট: ০৬:৪০ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার
প্রতিনিধি/ডিএইচ/২০১৫।