মালয়েশিয়া দূতাবাসে সোমবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবসের আলেচনা সভা।
হাই কমিশনার মো: শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর শ্রম মো: সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাই কমিশনার মো. ফয়সল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাট করেন কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, ফাস্ট সেক্রেটারি (শ্রম) সাহিদা সুলতানা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, ফাস্ট সেক্রেটারি মো: মশিউর রহমান।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় হাই কমিশনার মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের আত্মবিকাশকে রুদ্ধ করে দেওয়াই ছিলো এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মূল উদ্দেশ্য। এই নৃশংস হত্যাকান্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে সে ক্ষতের কিছুটা উপশম হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে খুনিদের বিচারের মাধমে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তির পর বিলম্বে হলেও ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। এই বিচার এবং বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতি তার কলঙ্কের দায় লাঘব করতে সক্ষম হয়েছে।’
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর সোনালি দিনের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক মো: জামিল হোসাইন নাসির, মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের আহবায়ক আহবায়ক রেজাউল করিম রেজা, মালয়েশিয়া আওয়ামীলীগের সাবেক ভার প্রাপ্ত সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল, মুক্তিযোদ্বা শওকত হোসেন পান্না, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ওহিদুর রহমান অহিদ, শাহিন সরদার, মালয়েশিয়া যুবলীগের আহবায়ক তাজকীর আহমেদ,শ্রমিকলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, সেচ্ছা সেবকলীগের ভার প্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন সেলিম, ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রাসেল সিকদার প্রমুখ।
উপস্তিত ছিলেন, দূতাবাসের কন্স্যুলার রইছ হাসান সারোওয়ার ফাস্ট সেক্রেটারি এসকে শাহীন, তাহমিনা ইয়াসমিন, কমার্সিয়াল উইং ধনন্জয় কুমার দাস, ফাস্ট সেক্রেটারি মোশাররাত জেবীন সহ দূতাবাসের সকল শ্রেণীর কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমান ও এই দিনের সকল শহীদদের আতœার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।