মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণতন্ত্রের মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে কুয়ালালামপুর কারি-কাপালা হলরোমে জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হক জোশেফের পরিচালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক ও উপদেষ্টা সোহরাওয়ার্দী হোসেন সারোয়ার।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সোহরাওয়ার্দী হোসেন সোহরাব বলেন,‘যারা এক সময় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে কালো আইন করেছিল তারাই এখন বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।‘প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে সকল বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন। খুব শিগগিরই বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে এনে বিচার কার্যকর করা হবে।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না বলেন,‘যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পোষণ করেছে। তারাই খুনিদের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে কালো আইন করেছিল। তাদের মুখোশ আস্তে আস্তে উন্মেচিত হচ্ছে।’
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল তারা ভেবেছিল যে তাদের গায়ে কোনো প্রকার আঁচ লাগানো যাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তাদের বিচার করেছেন। চাইলে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে সাধারণ মানুষের মতোই নিয়মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। বিদেশে যারা পালিয়ে আছেন তাদেরও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই দেশে ফিরে আনার চেষ্টা করছেন।’
সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামাল বলেন,‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। মনে হচ্ছে সে মামলা বিলম্ব হচ্ছে । কিন্তু মামলার প্রক্রিয়া নিয়মের ভেতর দিয়েই এগোচ্ছে। যারা জড়িত ছিল,তাদের মুখোশ জনসাধারণের সামনে উন্মোচিত হবে।’
প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবতার নেত্রী’ উল্লেখ করে কামরুজ্জামান কামাল বলেন,‘যেখানে ভারত চীন রাশিয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়নি,সেখানে মানবতার নেত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন,মানুষ মানুষের জন্য এবং জাতিসংঘে এ রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরায় এখন বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মতিউর রহমান,‘মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল করিম,দাতু আক্তার, দাতু আবুল কালাম কালাম আজাদ,মো.মনির হোসেন, আক্তার হোসেন গাজী,শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির,প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মখলিছুর রহমান মখলিছ, মো.মুরাদ,যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মো.আবু হানিফ,সাংবাদিক গোলাম রববানি রাজা,মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ফারজানা সুলতানা,সেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মোনায়েম খান,শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি মো. শাহ আলম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, মহানগর শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি ইলিয়াছ আলী ভূলু, চৌকিট শাখা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মো. শাকিল,ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক মো. রাসেল শিকদার, কুয়ালালামপুর ছাত্র লীগের সহ সভাপতি এস এম রাফি,সহ সভাপতি রায়হান প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে আওয়ামী লীগও তার সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং গণতন্ত্রের মানষ কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-স্বাস্থ্যে দীর্ঘায়ূ ও দেশবাসী এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
প্রতিবেদক : বশির আহমেদ ফারুক,মালয়েশিয়া
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:৫৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৭ শূক্রবার
এজি