মালয়েশিয়ায় কালচারাল ফেস্টিভ্যালে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

বিশ্বের শতাধিক দেশকে হারিয়ে উম্মাতিক কালচারাল ফেস্টিভ্যাল-২০১৫ এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এতে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল এাক্টিভিটি সেন্টারে (সিএসি) উম্মাতিক ফেস্টিভ্যালের ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের পরিবেশনা শেষে উম্মাতিক ফেস্টিভ্যালের ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ের হাসি ফোটে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মুখেই। অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন সোমালিয়ার আবদুল ঘানি ও প্যালেস্তাইনের লীন।

বিজয়ীদের নাম ঘোষণার শেষ প্রান্তে এসে ভাষ্যকাররা চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেন। মুহূর্তেই ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে কেঁপে উঠে পুরো অডিটরিয়াম। বাংলাদেশের পতাকা হাতে উল্লাসে মেতে উঠেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অডিটরিয়ামের খোলা চত্বরে নেমে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।

এর আগে ৭ দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনীতে অধ্যয়নরত আইআইইউএম-এর বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেছিলেন দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন রূপ। এতে স্থান পায় দেশের মানচিত্র, স্বাধীনতার ইতিহাস সংবলিত লেখা, লালনের ছবি, নকশি কাঁথা, রিকশা, পালকিসহ গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রায় সবই। সঙ্গে ছিল দেশীয় খাবারের সমাহার। বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন খেতে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশী ছাত্রীরা বিদেশী মেয়েদের হাতে মেহেদি পরিয়ে দেন। এ ছাড়া স্টলে আসা দর্শকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উপস্থাপন করেন স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ পর্বের শুরুতে পরিবেশিত হয় দেশের ওপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি প্রামাণ্যচিত্র। উৎসবে ১৮ জনের একটি দল দেশের গান ও আধুনিক গানের তালে এবং বিভিন্ন পোশাক পরে নৃত্য পরিবেশন করেন। পরিবেশনা শেষে তারা মানব স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন। এ সময় গ্যালারির হাজারো দর্শকের হাততালি ও ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে হলরুম।

আইআইইউএমের বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ টিমের প্রধান মাহমুদ খালিদ বলেন, ‘কিছু দিন আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কালচারাল টিমের অবস্থা এতো খারাপ ছিল যে সে বছর বাংলাদেশ অংশ নেয়নি।’

‘তখনই সিদ্ধান্ত নেই, আমাদের টিমও প্রতিবছর প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হব।’

‘এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর আমরা রানার্সআপ হই এবং এবার বিজয়ের স্বাদ ভোগ করি। এ বিজয়ের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও একধাপ এগিয়ে গেল’, বলেন তিনি।

মাহমুদ খালিদ আরও বলেন, ‘আইআইইউএম-এর বাংলাদেশ কমিউনিটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে গৌরবের আসনে আসীন করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই প্রচেষ্টার ক্ষুদ্র অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তাছাড়া আমাদের কমিউনিটি আজ আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।’

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৭:০১ পিএম,০২ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার

এমআরআর  

Share