সৌদি-আরবের ন্যায় পর্যটন নগরি মালয়েশিয়ার ভিবিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ঈদুর আযহা পালন করেছেন।
রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরের সেলায়েং পাসারের সূরাও বায়তুল নূরের উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরিচালনায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের ভিবিন্ন মহল্লা থেকে ছুঠে আসেন প্রবাসীরা মুসল্লিরা জামাতের সহিত নামাজ আদায় করতে।
বায়তুল নূর মসজিদ কমিটি সুষ্ঠু ভাবে নামাজ আদায়ের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাববায়েক লা শারিকালাকা লাববায়েক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নিয়ামাতা লাকাওয়াল মূলক লা-শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠে মসজিদ প্রাঙ্গন। হাজার হাজার প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা।
অনেক মসজিদের ভেতর জায়গা না হওয়ায় মসজিদ আঙিনায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজের আগে কুরবানীর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সূরাও বায়তুল নূর মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান ও মাও: মুফতি আব্দুল হালিম। মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান তার বয়ানে বলেন, কুরবানি হলো আল্লাহ তাআলার জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা প্রদর্শনের অন্যতম ইবাদত। যা যুগে যুগে সব নবি-রাসুলের জন্যই বিধিবদ্ধ ছিল। আর বর্তমান কোরবানি আমাদের জন্য হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম কর্তৃক পালনীয় ঐতিহাসিক আদর্শ ইবাদত। কুরবানী দেয়ার কিছু মাস-আলা ও মাসায়েল নামায আদায়কারিদের সামনে তুলে ধরেন।
বয়ানে আরা বলেন, ঈদকে সত্যিকার পরম করুনাময়ের কাছে গৃহীত করতে চাইলে সবধরনের কৃত্রিমতা ও লৌকিকতার মুখোশ ঝেরে ফেলে অনাবিল আনন্দেমেতে ওঠার আহবান জানায় ইদ। আললাহ এবং তার রাসুল (সা:) এর আদর্শের সীমানা ডিঙ্গিয়ে যাতে এর কোন অমর্যাদা না হয় সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন ।
ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করেন, সূরাও বায়তুল নূর মসজিদ কমিটির সভাপতি কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামাল, সাধারণ সম্পাদক মনির বিন আমজাদ, সেচ্ছা সেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন সেলিম, সাইদুর রহমান সরকার, আল-মামুন জেমস,এস এম হারুনূর রশিদ,সাওন আহমেদ, ময়নূল ইসলামসহ সেলায়েং পাসারের ব্যবসায়ি ও ভিবিন্ন পেশার লোকজন নামজ আদায় করেন।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার মু. শহীদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, মুক্তিযোদ্বা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ প্রবাসীদেরকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া তিতিওয়াংসা, কোতারায়া বাংলা মার্কেট, ছুবাংজায়া বাংলা মসজিদ, ক্লাং, পেনাং, ছুঙ্গাই ভুলু, পুচং, মালাক্কা, জহোরভারোতেও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসীরা।
এদিকে মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ নেগারাসহ দেশটির মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাতে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
জাতীয় মসজিদ নেগারায় ঈদুল আযহা নামাজের ইমামতি করেন সিনিয়র পেশ ইমাম তানশ্রী শেখ ইসমাইল মোহাম্মদ।
প্রতিবেদক : বশির আহমেদ ফারুক,মালয়েশিয়া /strong>
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ পিএম, ১ সেপ্টম্বর ২০১৭, শুক্রবার
এইউ