প্রবাস

মালয়েশিয়ার সারাওয়াকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবা

মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশে চলছে বাংলাদেশ দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবা। এ সেবার আওতায় এখন থেকে ওই অঞ্চলের প্রবাসীরা সারাওয়াকের একাধিক স্থান থেকে ক’দিনের জন্যে পাসপোর্ট সেবাও নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সারওয়াক প্রদেশের গভর্নর ও চীফ মিনিস্টারের সঙ্গে হাই কমিশনার মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম সৌজন্য সাক্ষাতের পর ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে কন্স্যুলার সেবা।

শুধু কন্স্যুলার সেবাই নয় সারওয়াক প্রদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন, হাই কমিশনার মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও শ্রম কাউন্সেলর সায়েদুল ইসলাম।

আলোচনার পাশাপাশি প্রত্যকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সে খানকার কল-কারখানা পরিদর্শন ও মালিক পক্ষের সঙ্গে ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে বিমানে করে ৯৮০ কি:মি: পথপাড়ি দিয়ে সারাওয়াক প্রদেশের রাজধানী কুচিং এর বাতু তিগা, সিবু ও মিরি অঞ্চলে বাংলাদেশ হাই কমিশন কন্স্যুলার সেবা প্রদান করছে।

আর এ সেবা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার পর্যন্ত। সেখানে আগত বাংলাদেশের নাগরিক যারা বিভিন্ন কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং প্লান্টেশনে কর্মরত রয়েছেন তাদের পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষের দিকে তারা পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার আবেদন করেন।

এখানে এরইমধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন কিন্তু কুয়ালালামপুর যেতে পারছেন না তাদের পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।

সার্ভিস প্রদানে নিয়োজিত শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত বাংলাদেশের নাগরিকদের নিকট সকল ধরণের সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে, কারখানা ভিজিট করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কুচিং এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রবাসী নাগরিকের দারগোড়ায় সেবা প্রদানে হাই কমিশন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে সারাওয়াক প্রদেশ কুয়ালালামপুর হতে বিমানে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত ফলে সারাওয়াক থেকে কুয়ালালামপুর এসে পাসপোর্ট বা কন্স্যুলার সেবা গ্রহণ করতে যাতায়াত, থাকা খাওয়া খরচ যেমন করতে হয় তেমনি সময়ও বেশি লাগে। তাই এভাবে গিয়ে নিয়মিত সেবা প্রদান করা হলে প্রবাসীরা উপকৃত হবেন।

সেবা নিতে আসা প্রবাসী হাসান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তিনি দশ বছর ধরে বৈধভাবে কাজ করছেন, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষের দিকে। কুয়ালালামপুর যেতে অনেক খরচ আবার সময় বেশি লাগে তাই যেতে পারছিলাম না। এখানে (সারওয়াক) দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবা দেয়া হবে শুনে এসেছি। পাসপোর্ট করতে দিতে পেরে আমি খুশি হয়েছি। আশা করি নতুন পাসপোর্ট দিতে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা আসেন তাহলে আরো উপকার হত।

পাসপোর্ট গ্রহণকারী রুবেল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘অনেক আগে কুয়ালালামপুর গিয়ে পাসপোর্ট করতে দিয়েছিলাম, কিন্তু কুয়ালালামপুর যেতে পারছিলাম না যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ার কারণে। এখন এখানে পাসপোর্ট পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’

প্রসঙ্গত, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের হাইকমিশনার সারাওয়াক প্রদেশ সফর করছেন তারই অংশ হিসেবে এ কন্স্যুলার সেবা দেয়া হচ্ছে।’

বশির আহম্মেদ ফারুক, মালয়েশিয়া করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ০৩ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ

Share