Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / প্রাথমিক শিক্ষায় মাল্টি-মিডিয়া ব্যবহারের গুরুত্ব
primary
প্রতীকী ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় মাল্টি-মিডিয়া ব্যবহারের গুরুত্ব

“মাল্টি-মিডিয়া ক্লাশরুমে, শেখে শিশু খুশি মনে।” শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে চলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড । বাংলাদেশেও শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বো ব্যয় ধরে জাতীয় বাজেট ঘোষিত হয়। জাতিকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে শিক্ষাক্ষেত্রে নিত্য-নতুন কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তুক বিতরণ, সহজ-সাবলিল শিখন পদ্ধতি, শিশুবান্ধব বিদ্যালয় গঠন, সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলিতে গুরুত্ব প্রদান, শিখন-শেখানো উপকরণ সরবরাহ, শিক্ষকদের মানসম্মত বেতন কাঠামো ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে শিক্ষার গতিকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াস সর্বক্ষণের।

প্রাথমিক শিক্ষাকে ডিজিটালাইজড করণে শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিদ্যালয়গুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম পরিচালনার সর্বাধুনিক শিখন ব্যবস্থা চালু করে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও সহজ ও দীর্ঘস্থায়ী করা হয়েছে।

প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম পরিচালনার ব্যবস্থা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে যথার্থ ভূমিকা রাখতে সহায়তা করছে।

মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিখন ব্যবস্থা হচ্ছে সহজ, সাবলিল, আকর্ষণীয়, দীর্ঘস্থায়ী ও সহজবোধ্য। প্রতিটি বিষয়ে প্রতিটি পিরিয়ডের বিষয়বস্তু অনুযায়ী নির্ধারিত শিখন চিহ্নিত করে শিক্ষকগণ ডিজিটাল কণ্টেণ্ট প্রস্তুত করে তা প্রদর্শনের মাধ্যমে শিখনফল অর্জনে সমর্থ হচ্ছেন, যা গতানুগতিক শিখন ব্যবস্থায় ছিল সময় স্বাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য।

বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমে আইসিটি ব্যবহারে শিখন-শেখানো কার্যাবলী পরিচালনায় শিক্ষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পূর্বের ন্যায় দীর্ঘ সময় ব্যাপি পাঠ পরিচালনা প্রণয়ন ও উপকরণ তৈরির বাড়তি চাপ না থাকায় শিক্ষকগণ স্বচ্ছন্দে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারছেন।

এতে যোগ্যতাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশেই ফলপ্রসু হয়েছে। অন্যদিকে শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল কণ্টেণ্ট ব্যবহারে পাঠদান নিশ্চিত করায় বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকার শিশুদের ১০০% ভর্তি, ঝরে পড়া রোধ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করণ নিশ্চিত হচ্ছে।

শিশুরা বাড়ির তুলনায় স্কুলকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তথাকথিত পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে থেকেও যুগোপযোগি শিক্ষা গ্রহণে তারা আগ্রহী হয়ে উঠছে।

কারণ- বই পড়ে, বক্তৃতা শুনে, শিক্ষকের শাসন ও শাস্তির মুখাপেক্ষী না হয়ে তারা নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করে বাস্তব জীবনে তা প্রয়োজনের সময়ে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমে শিখন হয় শিশু কেন্দ্রিক। শিশুকে ঘিরেই পরিচালিত হয় সকল শিখন প্রক্রিয়া। এতে শিশুরা নিজের মতো করেই প্রশ্ন করে তার উত্তর পেতে প্রত্যয় হয়।

শিক্ষক ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে তাদের সুপ্ত মনের ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে সহায়কের ভূমিকা পালন করছেন।

স্পষ্টতঃ দেখে ও স্পর্শ করে জানার মধ্যে যে স্থায়ীত্ব বিরাজমান, তা পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে সম্ভব নয়। তাই- ‘ক্লাশ যখন মাল্টিমিডিয়া, যায় না শিশু স্কুল ছাড়িয়া।’

লেখক-শহিদুল ইসলাম
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মতলব দক্ষিণ, চাঁঁদপুর।

প্রাথমিক শিক্ষায় মাল্টি-মিডিয়া ব্যবহারের গুরুত্ব

: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ২৪ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৭, বুধবার
এইউ

Leave a Reply