কাজের সুবাদে আট বছর আগে মালদ্বীপ যান কুমিল্লার যুবক রাসেল। সেখানেই তরুণী হাব্বা আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর পরিচয় থেকে পরিণয়। অবশেষে প্রেমের তিন বছর পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন দুজন। এরপর থেকেই চলছে তাদের দাম্পত্য জীবন।
সম্প্রতি রাসেল দেশে আসার সময় প্রথমবারের মতো স্ত্রী হাব্বাকে নিয়ে আসেন কুমিল্লার বাড়িতে। তার বাড়ি জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের গণ্ডামারা গ্রামে। বিদেশি বধূ আসার খবরে রাসেলের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের মানুষরা।
বুধবার সন্ধ্যায় সঙ্গে কথা হয় রাসেলের। তিনি জানান, ২০১৪ সালে কাজের সূত্রে মালদ্বীপ যান। ২০১৯ সালে মালে শহরের আহমেদ দিদিরের মেয়ে হাব্বা আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের অক্টোবরে তারা বিয়ে করেন।
রাসেল বলেন, ‘২৪ জুলাই বাড়িতে আসার কথা হাব্বাকে জানালে সেও আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে একইসঙ্গে দুজন বাড়িতে এসেছি। অল্প সময়ে আমার পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে সে। হাব্বা অনেক ভালো মেয়ে।’
রাসেলের বাবা আবদুর রশিদ বলেন, ‘অল্প সময়ে আমার পুত্রবধূ সবার সঙ্গে মিশে গেছে। মনে হয় আমাদের সঙ্গে বহু আগ থেকে তার পরিচয়।’
পয়ালগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাসেল ভালোবেসে মালদ্বীপের এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। সে বাড়িতে আসার সময় বউকে সঙ্গে এনেছে। যতটুকু শুনেছি মেয়েটি ভালো মনের।
কুমিল্লা প্রতিনিধি, ২৭ জুলাই ২০২২