১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল (দুই মাস) পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জাটকা রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবছরও এই দুই মাস নদীতে সব ধরনের মাছ আহরণ, মওজুদ, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে সরকার জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে।
বছরের মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা-মেঘনায় জাটকাসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের বিচরণ থাকে। সবচাইতে বেশি বিচরণ থাকে জাটকার। আর এ কারণে ওই এলাকায় সব রকম মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে। আর এ কমিটি ইতোমধ্যে জেলে পাড়ায় জেলে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে। জেলেরা অঙ্গীকার করেছে তারা জাটকা নিধন করবে না। কারণ গত বছর জাটকা নিধন নিয়ন্ত্রণে থাকায় এ বছর মৌসুম ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গেছে।
জাটকা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, মার্চ মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ৪ মাস জেলার তালিকাভুক্ত ৪১ হাজার ৪২ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে। এ সহায়তা বৃদ্ধি করে ৮০ কেজি করার জন্য ইতোপূর্বে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। যদি মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় তাহলে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আর না হলে আগের নিয়ম চালু থাকবে।
মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট ১০:৩৭ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ