হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন। জনগনের ভোটে নির্বাচিত পৌর মেয়রের ক্ষমতা গ্রহনের দু’ বছর হয়নি। এরই মধ্যে প্রত্যাশা ও দায়বদ্ধতা পূরনে কতটুকু বাস্তবায়ন করেছেন তা স্পষ্টাক্ষর।
পৌরবাসীর মনিকোঠায় যিনি দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নপুরুষ হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। কখনো পরিছন্ন কর্মী, কখনো দিনমজুর। কখনো পিতা, কখনো অভিভাবক। কখনো তিনি কঠোর, কখনো স্নেহী। কখনো বা ঢাল।
ওনার অক্লান্ত পরিশ্রমে দায়গ্রস্ত পৌরভবন আজ সাফল্যের শিখায় উদ্বাসিত। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতায় তার জন্য জাইকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই পৌরসভা। পুরুস্কৃত করেছে জাপান সফর।
স্বাধীনতার পর একমাত্র পথের দ্বারও উন্মোচন হয়েছে। তেমনি অনেক নতুনত্বের জন্ম হয়েছে। করেছেন আধুনিকায়ন। নাগরিক সেবায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা প্রদান করছেন।
অতীত ও বর্তমান এই পৌরসভার দিকে তাকালেই সকলে বুঝতে পারেন যে কোন চেয়ারম্যান বা মেয়র এমন কাজ আর কেউ করেনি। যা মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন পৌরসভাটিকে যেন যাদুঘরে পরিনত করেছেন। চেষ্টা করেও সাধারন লোকজন তার কোন অনিয়মের খোঁজ পাবেন না। জনগনের কাছে যে প্রিয় তা নয়। মন জয় করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও।
বর্তমানে পৌর এলাকায় রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভাট নির্মাণ অব্যাহত। নির্মাণ সামগ্রী নিজ হাতে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেছেন কয়জন। যা করছেন তিনিই করেছেন
দু বছর পূর্বেও বাতাসে ভেসে বেড়াতো কিছু কথা, নিজ ভাটার ইটেই হচ্ছে পৌরসভার কাজ। যা উচ্চ দামে ক্রয় করতো ঠিকাদার। এক কোটি ইট এক টাকা করে বেশী দাম হলে পকেটে আসতো কোটি টাকা।
দীর্ঘ দিনের জমে থাকা অনাদায়ী ট্যাক্স তুললে সম্পর্কের অবনতি হবে। এই আদর্শে পরিপন্থী বর্তমান মেয়র সম্পর্কের আদলে নরমে কঠোরে আদায় করছেন ট্যাক্স। ভোট হারাবার যেন ভয় নেই।
শুধু তাই নয় এই ব্যক্তিটির কাছে শিশুদের হাসি মাখা মুখ। চকলেট উৎসব লেগেই থাকে। তাইতো তিনি শিশু বান্ধব হিসেবে তাকে সকলেই জানেন।
রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতার পরিচয়ের ঘাটতি নেই। একজন নেতার ছুটে চলা। খোঁজ খবর নেয়া। সবইতো চলছে ঠিকঠাক। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসংযোগ, নাগরিকের শেষ বিদায়ে জানাযার নামাজে অংশগ্রহন, দোকানে দোকানে ব্যবসায়ীদের খবর নেয়া, বাদ যায়নি এই মহতির।
কোটি টাকার সরকারি গাড়ীতে বসে উচ্চবিলাসী আর আত্ম অহংকারে ভুগছিলেন কেউ কেউ। এমন অভিশাপে গ্রাস করতে দেননি নিজেকে। রিক্সা চালক আর ভিক্ষুক বুকে টেনে নিতে ইতস্থ নেই উনার। তাই তিনি একজন জনবান্ধব মেয়র হিসেবে এখন সকলে জানেন ।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এই কৃতি সন্তান হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উপজেলার সাবেক সাংসদ আঃ রব মিয়ার ভাগিনা ও শিক্ষক পিতার গর্বিত সন্তান।
মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত এই নেতা উপজেলা ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দীর্ঘ দুই বার হাজীগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।
লিখেছেন- জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৮ : ২৩ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ