চাঁদপুর

 মার্কা নয়, ব্যক্তি দেখেই ভোট দেবেন চাঁদপুরের ভোটাররা

পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক বা মার্কা বিবেচনা করে নয়, ব্যক্তিকে দেখেই ভোট দিতে চান ভোটাররা। তাদের সোজা-সাপ্টা কথা, যে প্রার্থী এলাকার সেবা করবেন তাকেই তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। মার্কা দেখে নয়, ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন।

সরেজমিনে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ও শনিবার (১২ ডিসেম্বর) চাঁদপুর ও পার্শ্ববর্তী জেলা লক্ষীপুরের পৌর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মত তুলে ধরেন তারা।

আর কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে এখন চায়ের দোকান, রাস্তার মোড়ে অথবা কাজের ফাঁকে সবাই ভোট নিয়েই খোশগল্পে মেতে উঠছেন। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় যতো এগিয়ে আসছে ততোই নির্বাচনী গল্পে চায়ের কাপে ঝড় উঠছে।

শনিবার রাত দশটার দিকে রায়পুর পৌর বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে ঢু’ মারতেই শোনা যাচ্ছিল পৌর নির্বাচনের গল্প। বিভিন্নজনের ভিন্ন ভিন্ন মতে জমে উঠেছিল নির্বাচনের আড্ডা।

একটি আড্ডায় রায়পুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হাসান বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে তো দলীয় প্রতীকে ভোট দেই, কিন্তু কোনো সেবা পাই না। তাই মার্কা দেখে নয়, ব্যক্তি দেখে ভোট দিমু’।

হাসানের কথায় সায় দিয়ে আরেক ভোটার লিটন বলেন, ‘মার্কা দিয়া আমরা কী করুম? যারে সব সময় কাছে পামু, যে আমাদের সেবা করবো তাকেই ভোট দিমু’। তবে প্রার্থীর নাম বলার বেলায় সবাই সতর্ক। নাম জানতে চাইলে সোজা-সাপ্টা উত্তর, ‘প্রার্থীর ফয়সালা কেন্দ্রে গিয়েই করুম’।

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের চায়ের দোকানেও ভোটের আলাপের খুনসুটি পাওয়া যায়। সাত নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতীকের গল্প নয়, ব্যক্তি ভালো কি-না সেটাই মুখ্য বিষয়। এটা আমাদের স্থানীয় নির্বাচন। এখানে কে ভালো আর কে মন্দ তা আমরা খুব ভালোভাবেই জানি। তাই প্রতীককে প্রাধান্য না দিয়ে ব্যক্তির স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিয়ে ভোট দিমু’।

সিরাজুলের সঙ্গে সায় দেন নয় নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার খুরশেদ আলম ও ও আট নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার শফিকুল ইসলাম। সুষ্ঠুভাবে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বানও জানান এ এলাকার ভোটাররা।

তবে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বক্তব্য ভিন্ন। তারা নিজেদের দলের প্রতীকে ভোট গ্রহণকেই স্বাগত জানাচ্ছেন। রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থীদের মাঝে আলাদা এক অনুভূতি কাজ করছে। সবাই উজ্জীবিত হয়ে কাজ করছেন’।

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট || আপডেট: ০৬:০৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার

এমআরআর  

Share