মার্কা দিতে না পারলে দুঃখ নেই, প্রতিযোগিতার সুযোগ দিন: এমএ হান্নান
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক এমএ হান্নান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্তে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়ন দাখিলের সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত নেতাকর্মীদের চোখে পানি দেখা যায়। এ সময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমএ হান্নান বলেন, তিনি দলের বিরুদ্ধে যেতে চাননি। কেবল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপেই শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিগত সরকারের আমলে হামলা-মামলা, নির্যাতন ও কারাবরণের শিকার হয়েছেন; তবু কোনো আপোষ করেননি।
দলের হাই কমাণ্ডের কাছে অনুরোধ-
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মনোনয়ন পেতে যেসব যোগ্যতা ও ক্যাটাগরি প্রয়োজন—সবই তাঁর ছিল। তারপরও দল থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের হাই কমাণ্ডের কাছে তাঁর অনুরোধ—মার্কা দিতে না পারলে তাতে কোনো দুঃখ নেই, অন্তত প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
এম এ হান্নান অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে মাঠে থাকতে দেওয়া হবে না—এমন হুমকি-ধমকির কথা তিনি শুনছেন।
তবে তিনি বলেন, নির্বাচন শুরু হলে দেখা যাবে মাঠে কে থাকবে, কে থাকবে না। তাঁর দাবি, একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে ধমক দেব না। আমরা সবাই ভাই-ভাই—সবাই তো বিএনপির লোক। জামায়াতের লোক আমাদের ধমক দেয় না, অথচ আমাদের দলের লোকই ধমক দেয়। বলছি, ভাই—আমরা একই দলের লোক, ধমকাও কেন? আমাদের যখন ক্ষমতা ছিল, আমরা তো কাউকে দমন করিনি। নির্বাচন করার জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ চাই।”
মনোনয়ন দাখিলের সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ফরিদগঞ্জ পৌর কমিটির সাবেক সভাপতি আমানত গাজী, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর খসরু মোল্লা, ফারুক হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম কাঞ্চন, জাকির হোসেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম নান্টুসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫