চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অনাথ দাস নামে এক ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
২৫ জুলাই রোববার নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় পুলিশ শ্রীকৃষ্ণ দাস (৫৫) নামে একজনকে আটক করেছে।
জানা গেছে, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের জেলে পল্লীর জেলে অনাথ দাস গত এক সপ্তাহ পুর্বে ১৯ জুলাই সোমবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। এরপর গত ২৫ জুলাই রোববার দুপুরে ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর খাল পাড় থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহত অনাথ দাসের ছেলে সুভাষ দাস বাদী হয়ে তার পিতাকে হত্যার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের দ্বারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটলেও বাদী তার লিখিত অভিযোগে পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির সুবল দাসসহ ৬ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে। মামলার আলোকে থানা পুলিশ রোববার গভীর রাতে মামলার ৫ম সন্দেহভাজন আসামী শ্রীকৃষ্ণ দাসকে আটক করে। পরে ২৬ জুলাই সোমবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।
আরও পড়ুন… ফরিদগঞ্জে নিখোঁজের ৭ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
যদিও আটককৃত শ্রীকৃষ্ণ দাসের পরিবারের সদস্যরা জানায়, এই ঘটনার সাথে শ্রীকৃষ্ণ জড়িত নন। প্রকৃত তদন্ত করলেও মূল আসামী বের হবে। এটা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পিবিআই চাঁদপুরের একটি টিম ছায়া তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কারী অফিসার ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত (ওসি) মো. বাহার মিয়া জানায়, হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শ্রীকৃষ্ণ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছি এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আমরা সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের একজন শ্রীকৃষ্ণকে আটক করেছি। মামলাটি তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই রোববার দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের একটি খাল পাড় থেকে অনাথ চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের খুরুমখালী গ্রামের প্রয়াত গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে। পেশায় সে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ী অনাথ দাস তিন সন্তানের জনক।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৬ জুলাই ২০২১