চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি ইউনিয়নের উত্তর ষোলদানায় সুরাইয়া বেগম (৫০) নামের এক নারী মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একই এলাকার ৭ জনকে আসামী করে কোর্টে মামলা করে। মামলার কারণে খেঁটে খাওয়া দিনমজুর আসামিরা পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে জানাযায়, বিগত ৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার একই বাড়ির সিএনজি চালক ইব্রাহীমের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়।
এ পরিস্থিতিতে একই বাড়ির বেনে করে ফল বিক্রেতা মো: তাফাজ্জল হোসেন স্বেচ্ছায় নিজের জায়গায় খুঁটি স্থাপন করে লাইন নিতে একমত পোষন করে।
এদিকে সুরাইয়া বেগম ও তার মেয়ে অনেকটা গায়ে পড়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে। পরে মিথ্যা কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে কোর্টে গিয়ে মাললা করে বাড়ি ছাড়া করেছে ২৫/৩০টি পরিবারের লোকজনকে। এদের অনেকেই ক্ষেত মজুরের কাজ করে দিন কাটাচ্ছে।
হয়রানীর শিকার সবুজ (৩৫), বশির (৩০), তাফাজ্জল (৫০), ইদ্রীস(৫৫), ওয়াসীম ও মনির জানায়, আমরা অসহায় সিএনজি চালক ইব্রাহীমের স্বার্থে একই বাড়ির তাফাজ্জলকে লাইন নিতে একটি খুঁটি স্থাপনের জন্য অনুরোধ করলে সে অনুরোধ রক্ষা করে। ওঁই স্থানে অন্যায়ভাবে বাঁধ সাধে সুরাইয়া বেগম (হেন লাক্স) ও তার মেয়ে খাদিজা। অথচ সুরাইয়ার সম্পত্তির সীমানার ধারে কাছেও নেই বিদ্যুৎতের খুঁটি। আমাদের অপরাধ কি ?
আমাদেরকে অন্যায় ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করার করার কারণ কি? আমরা দিন এনে দিন খেঁটে খাই। আমাদের উপর একই কায়দায় জুলুম অত্যাচার করে পূর্বেও একাদিক মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে এ মামলাবাজ মহিলা। আমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে চলতে হচ্ছে বিধায় স্ত্রী সন্তানরা নিধারুণ কষ্টে অনাহারে – অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আমাদেরকে পরিত্রান দেবে কে ?
আমরা নিরুপায় হয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কাছে গনস্বাক্ষরে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি এ মহিলার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সুরাইয়ার মেয়ে খাদিজা জানায়, আমরা চাঁদপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছি।সবুজ, তাফাজ্জলসহ ওরা ৩১ আগষ্ট আমাদেরকে ঘরে ঢুকে মারধর করছে। ২ সেপ্টেম্বর বাডির রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। মা ও আমাকে তারা প্রচন্ড রকমের মারধর করেছে। আমরা নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা না নেয়ায় কোর্টে মামলা দায়ের করেছি। তারা আমাদের উপর ইতি পূর্বেও নির্যাতন চালালে আমরা কোন সঠিক বিচার পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা দিবে কে? অন্যায়ভাবে আমাদের সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে ওরা।
এ বিষয়ে সুমাইয়ার স্বামী মো: আবুল খায়ের জানান, ঘটনার দিন আমি বাড়ি ছিলামনা। তবে ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি।
তাছাড়া তিনি স্বীকার করে জানান, মামলা দেওয়া ঠিক হয়নি। স্থানীয় ভাবে বিষটি নিস্পত্তি করা দরকার ছিল।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: ইলিয়াছ বেগ জানান, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মহিলার মামলাটি সম্পূন্ন রুপে কাল্পনিক সাজানো নাটক।
ইতিপূর্বেও এ মহিলা এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে একাদিক মামলা দিয়ে হয়রানী করেছিল । মহিলা মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানী করছে খেঁটে খাওয়া কতগুলো দিন মজুরকে। সঠিক তদন্তপূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনেছি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান