চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চাঞ্চল্যকর জেলে অনাথ দাস হত্যা মামলায় রাজু চন্দ্র দাস(২৫) ও উৎপল চন্দ্র দাস(২২) নামে আরো দু’জনকে আটক করেছে চাঁদপুর পিবিআই। এপর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
২৫ আগস্ট বুধবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকার রনি মার্কেট থেকে তাদেরকে আটক করে এবং ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এদিকে রাজু ও উৎপলের পিতা সুবল দাসকে একই এলাকা থেকে ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে আটক করেছিল পিবিআই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক মুঠো ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই জানায়, গত ১৯ জুলাই কড়ৈতলীর পাশ্ববর্তী শাহী বাজারে মাছ বিক্রি করতে গিয়ে নিখেঁাজ হন জেলে অনাথ দাস। এক সপ্তাহ পর ২৫ জুলাই সাহাপুর গ্রামের বাবুর বাড়ির কাছে একটি কচুরিপানা ভর্তি খাল থেকে অনাথের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, অনাথের লাশ উদ্ধারের পরপরই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রাজু, উৎপল ও তাদের পিতা সুবল দাস পালিয়ে যায়। একই দিন অনাথের ছেলে সুবাশ দাস বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানায় মামলা হলেও চাঁদপুরের পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়েনের সেকান্দর গাইন ওরফে শেখার ছোট ছেলে সোহাগকে আটকের পর সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সোহাগের কাছ থেকে অনাথ দাসের মুঠো ফোনটি উদ্ধার করা হয়। সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই নিশ্চিত হয় অর্থের বিনিময়ে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মূল হোতা সুবলদাসসহ ৪ জন জড়িত। তাদেরকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পিবিআই।
এর মধ্যে প্রধান আসামি সুবল দাস তার দুই ছেলে রাজু ও উৎপল বিভিন্ন সময় স্থান বদল করার কারনে তাদেরকে আটক করতে বিলম্ব হয়েছে।
এর মধ্যে ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুবল দাসকে আটক করতে সক্ষম হয় পিবিআই।।
এরপর বুধবার রাতেই একই এলাকার রনি মার্কেট থেকে রাজু ও উৎপলকে আটক করে পিবিআই। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান, ২৬ আগস্ট ২০২১