বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় আরেকটি অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়াটাকেই আমরা পরকীয়া হিসেবে জানি। শুধু তাই নয়, অনেকে একই সঙ্গে একাধিক পরকীয়াও চালিয়ে যান। আর এই পরকীয়া করার জন্য ও বিপরীত লিঙ্গের মন ভোলাতে মানুষ আশ্রয় নিয়ে থাকেন জঘন্য কিছু কৌশলের। জেনে নেই পরকীয়া করার কৌশল, যেসব কৌশলের আশ্রয় নেয় বেশির ভাগ মানুষ-
নিজের স্বামী/স্ত্রীকে খারাপ প্রমাণ করা
নিজের জীবনসঙ্গী ভালো হওয়া সত্ত্বেও তার নামে বদনাম করা, কুৎসা রটানো, সকলের সামনে নানাভাবে তাঁকে হেয় করাই হচ্ছে পরকীয়ার অন্যতম কৌশল।
সংসারে অশান্তির শিকার, এমনটা দেখানো
সংসারে অশান্তি না থাকলেও এমনটা ভাব করা যে সংসারে খুব অশান্তি এবং কোনো দোষ না করেই তিনি এই অশান্তির শিকার। এমনটা করে যা হয়, সেটা হলো খুব সহজে নিজেকে নিঃসঙ্গ ও ভালো মানুষ হিসেবে প্রমাণ করা।
নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ পরিচয় দেয়া
জীবনসঙ্গীর চোখের আড়ালে সুযোগ বুঝে নিজেকে সিঙ্গেল পরিচয় দিয়েও পরকীয়া করেন অনেকে। এতে প্রেম করাটা সহজ হয়। একই সঙ্গে জীবন সঙ্গী ও পরকীয়ার সঙ্গী, দুজনকেই ধোঁকা দেন তারা।
নিজের সম্পর্কে মিথ্যা কাহিনি তৈরি
নিজের অর্থ বিত্ত সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে এমন সব মিথ্যা কাহিনি তৈরি করেন যেন বিপরীত লিঙ্গ খুব আকর্ষণ বোধ করে আর তিনি অন্য কারো জীবনসঙ্গী এটা জানা সত্ত্বেও প্রেমে আগ্রহী হয়ে উঠে।
অর্থের জোরে সম্পর্ক কেনা
টাকা দিয়ে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করাও খুব কমন। এক্ষেত্রে পরকীয়ায় মানসিক সম্পর্কের চাইতে শারীরিক সম্পর্কই হয় বেশি।
এমন সম্পর্কে জড়ানো যা খুবই লজ্জাজনক
পরকীয়া এমনিতেই অনৈতিক, কিন্তু পরকীয়ার তাগিদে মানুষ এর চাইতেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। যেমন কাজের মেয়ে বা ড্রাইভারের সঙ্গে প্রেম বা এমন কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেম যার সঙ্গে সমাজ প্রেমকে স্বীকৃতি দেয় না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনৈতিক কার্যকলাপ
ফেসবুকে বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার হরেক রকমের বন্ধু তৈরি হয়, তাদের সঙ্গে নানা রকমের মিথ্যাচার ও সম্পর্ক তৈরি, নিজেকে সিঙ্গেল দাবি করা ইত্যাদি আজকাল অহরহ হচ্ছে। বিশেষ করে পরকীয়া করাকে খুবই সহজ করে দিয়েছে ফেসবুক।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১২ : ৪০ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৭ সোমবার
এইউ