জাতীয়

মানুষের মন থেকে জঙ্গি আতঙ্ক কেটে গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মানুষের মন থেকে জঙ্গি আতঙ্ক কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল। এ কারণে এই ঈদে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জঙ্গি আতঙ্ক দূর করতে পেরেছি। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সফলতা। বাংলাদেশের মানুষ যা চায় না, তা কখনও হয় না। এটি আজ প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, টঙ্গীর ঘটনাটি দুঃখজনক। যাদের গাফিলতিতে এ ঘটনা হয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। ঈদের ছুটির পর সচিবালয়ে আবার কর্মব্যস্ততা ফিরে এসেছে। তবে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি একেবারে কম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও মন্ত্রীরা উপস্থিত হয়েছেন।

সচিবালয়ে সকাল থেকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বছর ঈদ ভালো কেটেছে। জঙ্গি আতঙ্ক ছিল না। মানুষ নির্ভয়ে গ্রামে গেছে। যাতায়াতের চার মাধ্যম সড়ক, নৌ, বিমান ও রেলওয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।

মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়েছে। তাদের হাতে টাকা আছে। এ কারণে ঈদ উৎসব পালনের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষ ঘুরে বেড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আবার অনেকে দেশের বাইরেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরও প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকারের আরও পরিকল্পনা আছে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে সোচ্চার আছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সামনে আগের চেয়ে আরও বেশি মতবিনিময় সভা হবে।

তিনি বলেন, যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে, সে সব প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে।

এ জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন আর ইউজিসির একজন সদস্য রাখা হয়েছে। আগেও তাদের অন্তর্ভুক্তি ছিল। তবে এখন তাদেরকে দায়িত্বে আরও সক্রিয় থাকার জন্য বলা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৪:৪৪ পিএম,১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
এইউ

Share