মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসান আলীর মৃত্যুদণ্ড

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০১৫  ১২:৪০ অপরাহ্ন

হাসান সাইদুল :

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি হাসান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। হাসান আলীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতায়। একাত্তরে তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার এবং ‘রাজাকার দারোগা’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি।

চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণায় ট্রাইব্যুনাল বলেন, হাসান আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে দণ্ড কার্যকর করা যাবে। সরকার যেটা ঠিক মনে করে।

হাসান আলীর বিরুদ্ধে আনা ৬টি অভিযোগের মধ্যে এক নম্বর ছাড়া বাকি পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

এর মধ্যে তিন নম্বর ও চার নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ২, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারদণ্ড দেয়া হয়।

পলাতক হাসান আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, আটক ও নির্যাতনের ৬টি অভিযোগ আনা হয়। এতে ২৪ জনকে হত্যা, ১২ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ১২৫টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হাসান আলীর অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আব্দুস শুকুর খানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

একই বছরের ২৪ আগস্ট হাসান আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়ে পলাতক এ আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়।

তদন্তের স্বার্থে আনা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৩ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২০ এপ্রিল উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখে মামলাটি সিএভিতে রেখে দেন।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমসর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

Share