সারাদেশ

মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্মম নির্যাতন

মাদারীপুর করেসপন্ডেন্ট :

মোবাইলে মায়ের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনিতে সিফাত উল্লাহ (১০) নামের এক মাদ্রাসার ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে গামছা ঢুকিয়ে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। শিশুটির চাচা মসজিদের ইমাম সগির হোসেন এ নির্যাতন করেছেন বলে পারিবারিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের দিনমজুর আমজাদ বেপারীর ছেলে সিফাত উল্লাহ। সে একই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম কওমি মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণির ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করে আসছে।

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হলে সিফাত তার ছোট চাচা একই উপজেলার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী বেপারী বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. সগির হোসেনের কাছে পড়ালেখার জন্য থেকে যায়। চাচার কাছে থাকার অনেক দিন হয়ে গেলে তার মায়ের কথা মনে পড়লে সে গোপনে মসজিদের পাশের দোকান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলে মায়ের সঙ্গে কথা বলে।

এ অপরাধে শিশুটির চাচা মসজিদের ইমাম সগির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার বিকেলে সিফাতকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে গামছা ঢুকিয়ে বেত্রাঘাত করেন। এক পর্যায় সিফাত অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পুনরায় জ্ঞান ফিরে আসলে আবার বেত্রাঘাত করেন তাকে। এসময় শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে শিশু সিফাতের বাবা মো. আমজাদ বেপারী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা একজন মানুষ মানুষকে করে না। আমাকে এলাকার মুরুব্বিরা আশ্বাস দিয়েছেন নির্যাতনকারী সগিরকে এলাকায় এনে বিচার করবে। তাই সে বিচারের আশায় চুপ করে আছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম মো. সগির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, রাগের মাথায় ভুল করে এ কাজটি করে ফেলেছি। আমি চরম অন্যায় করেছি। আমাকে মাফ করে দেন।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, ২০ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শনিবার ০৪ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি

Share