চাঁদপুর মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল (মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র) চালক মো. রফিকুল ইসলামে মরদেহ শাহরাস্তি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩০ আগস্ট রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহরাস্তি থানা পুলিশ স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে উত্তর পাশে বাদিয়া এলাকার ডোবায় পানিতে ভাসমান থাকা ওই চালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
রফিকুল ইসলাম পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাদিয়া এলাকার ডাক বাংলো বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তার স্ত্রী, ১ কন্যা ও ৪ পুত্র সন্তান রয়েছে।
শাহরাস্তি পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার বলেন, রফিকুল ইসলাম আজ সকাল থেকেই ওই ডোবায় থাকা কচুরিপানা পরিস্কার করছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে একবার ডোবা থেকে উপরে উঠতে দেখেছেন লোকজন। পুনরায় আবারও তিনি ওই ডোবাতে কাজ করেন। কিন্তু সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরার কারণে পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে তার মরদেহ ডোবার পানিতে ভাসমান দেখেন। এরপর লোকজন শাহরাস্তি থানায় এই সংবাদ পাঠায়।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রফিকুল ইসলাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র চাঁদপুর সদরের এ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডাঃ ইলিয়াছ।
তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম শনিবার (২৯ আগস্ট) ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা একজন স্টাফ পাঠিয়েছি ঘটনাস্থলে। ওই স্টাফ জানিয়েছে ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিবারের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু মোবাইল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ৩০ আগস্ট ২০২০