আন্তর্জাতিক

মাতৃভক্তির এক ভিন্ন চিত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সন্তানের প্রতি মায়ের যে নিঃস্বার্থ স্নেহ, মাতৃভক্তি সম্ভবত সে তুলনায় নস্যি। আজকাল তো বৃদ্ধাশ্রমে নির্বাবন্ধবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয় মায়েদের। মরার আগে উইকেন্ডে সন্তানরা দর্শন দিতে আসে। দিন দিন বাড়ছে এই বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা।

তবে দক্ষিণ পশ্চিম চিনের বাসিন্দা চেন ঝেনগিং যে মাতৃভক্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা দেখলে যে কেউ আবেগাপ্লুত হতে বাধ্য। চেনের দুটো হাত নেই। সাত বছর বয়সেইলেকট্রিক শক খেয়ে দুটো হাতই নষ্ট হয়ে যায় তার। চেনের (৪৮) মা গত বছর জুলাই থেকে প্যারালাইজড হওয়ার পর থেকে বিছানায় নিথর পড়ে থাকেন।

এর আগেই হাতবিহীন চেন আর তার মা-কে ছেড়ে চলে গেছে ভাই-বোনেরা। ২৮ বছর আগে চেনের বাবাও মারা যান। চেন কিন্তু মাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি। চেন এখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা-কে খাইয়ে দেয়, স্নান করিয়ে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়। দুটো হাত নেই বলে কাজগুলো চেনের কাছে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তাতে কী! মাতৃভক্তির শক্তি বলে কথা! চেন মা-কে খাইয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে দাঁত আর ঠোঁট, স্নান করানোর জন্য ব্যবহার করে পা, খাওয়ার তৈরির জন্য ব্যবহার করে পা।

চেনের এই মাতৃভক্তি ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে। সবাই চেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চেন বলছেন, শীতের সময়টাতেই বেশি কষ্ট হয়। কারণ হাত নেই বলে মোজা পরতে সে এখনও পারে না। ওর চিন্তায় এখনই এটা শিখে ফেলতে না পারলে আসছে শীতে তার মা-কে মোজা পরাতে সে পারবে না। তাই চেন এখন পা দিয়ে মোজা পরার কৌশলটা নিয়ে খুব ব্যস্ত। শীত আসছে, মা-কে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতেই হবে।

Share