কোনো ভাবেই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে না। জয়তো নয়ই বরং স্বসম্মান নিয়ে দেশে ফেরাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছ!
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মনে হচ্ছে যেন অজেয়। তবে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি বিন মুর্তজা তাদের হারানোর একটা পথ বের হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ডায়মন্ড ওভালে রোববার প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায়। ২০১৩ সালের জানুয়ারির পর এটাই কিম্বার্লিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। গত ১৪ বছরে এই মাঠে ওয়ানডে হয়েছে মাত্র তিনটি।
কিম্বার্লিতে এর আগে খেলা দুই ওয়ানডেতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ও ২০০৩ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিল ৭ উইকেটে। ডায়মন্ড ওভালে খেলা ৭ ওয়ানডের ছয়টিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, হেরেছে অন্যটিতে।
শনিবার মাঠে এসে সবার আগে উইকেট দেখতে যান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। পরে মুমিনুল হককে নিয়ে উইকেট দেখতে যান মুশফিকুর রহিম। পরে নাসির হোসেনও যোগ দেন তাদের সঙ্গে। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে উইকেট দেখেন দুই বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও সুনীল জোশী।
ছোট শহরের এই মাঠের উইকেটে আছে রানের হাতছানি। কিউরেটর আভাস দিয়েছেন, স্পিন একদমই ধরবে না। বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। ব্যাটসম্যানদের জন্য আর্দশ এক উইকেট। এর সঙ্গে আরো যোগ হয়েছে বাতাস। যা অবশ্যই সফরকারীদের জন্য দুর্ভাবনার।
বাংলাদেশের জন্য সুখবর; ঊরুর চোট কাটিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকারের যে কোনো একজনকে বেছে নিতে হবে বাংলাদেশকে। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের ছিটকে পড়া দুঃসংবাদ হিসেবে যোগ হয়েছে।
বোলিং আক্রমণ কেমন হবে এনিয়ে অনেক ভাবতে হচ্ছে মাশরাফিকে। চার পেসার নিয়ে খেলার দিকে ছিল তার ইঙ্গিত। মুস্তাফিজ ছিটকে যাওয়ার পরও চার পেসার খেলানো সম্ভব। সেক্ষত্রে অভিষেক হতে পারে তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের। অধিনায়কের সঙ্গে পেস আক্রমণে থাকতে পারেন রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আরেক জন স্পিনার খেলানো হবে কি না এনিয়ে দ্বিধায় আছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং দুই দিকের কথা চিন্তা করে একাদশে তার সঙ্গী হতে পারেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
টেস্ট সিরিজ সহজে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক দু প্লেসি মনে করেন, ওয়ানডে সিরিজ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ০০ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ রোববার
এইউ