চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা সাড়ে ১৯ কোটি টাকা মূল্যমানের ২০৩ কনটেইনার পণ্য দীর্ঘদিনেও খালাস না করায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে আপেল-কমলার মতো কাঁচা ফলমূলের পাশাপাশি এনার্জি ড্রিংক, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও প্রসাধনী পণ্য। (জাগো নিউজ)
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মাজেদুল হক বলেন, আমদানিকারকরা দেশে আনার পর নানা কারণে বন্দর থেকে খালাস করেননি এমন ২০৩ কনটেইনার পণ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। এসব কনটেইনার ৩৭ হাজার দিন ধরে এসব বন্দর ইয়ার্ডে পড়ে আছে। কনটেইনারগুলো নতুন করে ভাড়াও দেয়া যাচ্ছে না। এদিকে আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তাই গত বুধবার থেকে চট্টগ্রামের টোল রোডের পাশে আবদুর রহমান ডিপো এলাকায় এসব পণ্য মাটিচাপা দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০৩ কনটেইনারে মোট ৪৪ লাখ কেজি পণ্য রয়েছে, যার আমদানি মূল্য প্রায় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
মাটিচাপা দেয়া এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- আপেল, কমলা, মাল্টা, পেঁয়াজ, মুরগির খাবার, এনার্জি ড্রিংক, সূর্যমুখী তেল, ফলের জুস, প্রসাধনী ও স্যানিটারি ন্যাপকিন। এর মধ্যে অধিকাংশ পণ্যই পচে-গলে নষ্ট হয়ে গেছে।
জানা গেছে, কাঁচা ফলমূল আমদানিকারকদের অধিকাংশই মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। অনেক সময় বাজারে ফলের দাম পড়ে যায়। তখন শুল্ক-কর ও মাশুল পরিশোধ করে খালাস নিতে গেলে আরও লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তাই মৌসুমি আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করেন না।