সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এত খাদ্য কিন্তু তা খাওয়া যাচ্ছে না। আগে ফলের, মাছের, মাংসের দোকানে মাছি ভনভন করত। মাছিরাও এখন ভয় পাচ্ছে এগুলো খেতে।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ অভিযোগ করেন, ‘শাকসবজি-ফলমূলে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, মাছে ব্যবহৃত হচ্ছে ফরমালিন, মুরগি আর মাছের খাবারে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্যানারির বর্জ্য।’
প্রচুর খাবার উৎপাদিত হলেও এসব খাওয়ার উপযোগী নয় জানিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমাদের দেশে খাদ্যে ঠাঁসা কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাব রয়ে গেছে। এখন যদি আগামী প্রজন্মকে নিরাপদ খাদ্য না দিতে পারি তবে তারা এমনিতে অসুস্থ হয়ে পুষ্টিহীনতায় ভুগবে। অপুষ্টিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কী করে সম্ভব?’
বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেন, ‘এখন খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি টনেরও বেশি। যা আমাদের খেয়েও আরো উদ্বৃত্ত থাকছে। আমাদের দেশে এখন আর মানুষ না খেয়ে নেই। দরিদ্র মানুষও এখন দুই বেলা খেতে পারছে। আমাদের দেশ উৎপাদনের দিকে বহুগুণে এগিয়ে যাচ্ছে। বৈদিশিক আয় বেড়েছে। শিশু মৃত্যুর হার কমছে।’
বিরোধী দলের নেতা আরো বলেন, ‘সামনে শীত আসছে। প্রচুর শাকসবজি আসবে। থাকবে ফলমূলও। কিন্তু কোনটা মুখে দিবেন? কিছুই তো মুখে দেওয়া যায় না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের দেশে এখনো নিরাপদ খাদ্য নেই। যা আমরা বিনা দ্বিধায় চিন্তামুক্ত হয়ে খেতে পারি। বিদেশে গেলে চিন্তুামুক্ত হয়ে খেতে পারি কিন্তু দেশে খেতে চিন্তা করতে হয়। এটা খাওয়া যাবে কি না, সহ্য করা যাবে কি না, অসুস্থ হয়ে পড়ব কি না- এসব বিষয় চিন্তা করতে হয়। শাকসবজিতে প্রচুর কীটনাশক দেওয়া হয়। আমাদের কৃষকরা তো জানে না, কতটুকু দিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বোঝানোর জন্য কোনো মাঠকর্মী মাঠে যায় না।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘মাছের বাজারে যান, মাছ খেতে পারবেন না, মুরগি খেতে পারবেন না, ডিম খেতে পারবেন না। মাছের আর মুরগির খাদ্য করা হচ্ছে ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে।’ (এনটিভি)
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬:০০ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ