সারা বিশ্বে স্মলপক্সের টিকা জোরদার না হওয়ায় তরুণদের মধ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। একইসঙ্গে স্মলপক্স টিকার বাইরে থাকাদের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকি ১০ থেকে ৪০ শতাংশ বলেও এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সংগৃহীত বিভিন্ন দেশের মাঙ্কিপক্সের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘মাঙ্কিপক্স প্যানিক অর রিয়েল থ্রেট’ শীর্ষক এক বিজ্ঞানবিষয়ক সেমিনারে গবেষণার প্রবন্ধ তুলে ধরেন একই বিভাগের চিকিৎসক তানজিদা রুবায়েত।
গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিকে তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গের ৯৫ ভাগই থাকে মুখে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া বেশি কাজ করায় তরুণদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। তারা একসঙ্গে খেলাধুলা করে, ফলে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে যায়।
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. টিটু মিয়া বলেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশে এটি ছড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। আইইডিসিআর শনাক্তকরণে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গাইডলাইন রয়েছে। যেহেতু এখনো আমাদের দেশে মাঙ্কিপক্স আসেনি, তাই নিজস্ব গাইডলাইন আপাতত ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেহেতু এটা তরুণ ও শিশুদের মধ্যে বেশি ছড়ায়, তাই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুলতানা শাহানা বানু বলেন, মূলত ট্রপিক্যাল দেশগুলোতে বেশি ছড়ায়। বলা হচ্ছে সমকামীরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটি অনেকটা একপেশে ধারণা। অন্যরাও সংক্রমিত হচ্ছেন। করোনায় যেভাবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি, একইভাবে এটি প্রতিরোধেও মানতে হবে। এখন পর্যন্ত স্মলপক্স ভ্যাকসিনই এটির কার্যকর উপাদান।
বার্তা কক্ষ, ২৮ মে ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur