চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড হতে চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকা পর্যন্ত ৩ টি হাসপাতালের সামনে নেই কোন স্পিডব্রেকার। যার কারণে সড়কের ওইস্থানে প্রায়ই ঘটছে যানবাহন ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
বেশ কিছুদিন পূর্বে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কটির বাসস্ট্যান্ড হতে ওয়্যারলেস পর্যন্ত পুনঃসংস্কার কাজ করা হয়। উন্নত পরিসরে নতুন করে সড়কটির নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে আগের তুলনায় ওই সড়ক অনেক চওড়া করা হয়। নতুন করে সড়কটির নির্মাণ কাজ করা হলেও বাসস্ট্যান্ড হতে চেয়ারম্যান ঘাটা পর্যন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে চলার জন্য কোন ধরনের স্পিডব্রেকার দেয়া হয়নি।
বিশেষ করে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বেলভিউ হাসপাতাল ও মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালসহ এ তিনটি হাসপাতালের সামনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে কোন ধরনের স্পিডব্রেকার রাখা হয়নি। সড়কে স্পিডব্রেকার না থাকায়, বিভিন্ন যানবাহন চালকরা রাস্তা চওড়া ও মেরামত পেয়ে ওইস্থান দিয়ে খুব দ্রæত গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকেন বলে পথচারী ও স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি আগের চেয়ে অনেক বেশি চওড়া হওয়ায় চালকরা যে যার ইচ্ছেমত বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দেখা যায় অনেক পথচারী রাস্তার এক পাশ থেকে অন্যপাশে যেতে চাইলে দুর্ঘটনার ভয়ে তা পারছেন না। কারন গাড়ির অনেক বেশি গতিবেগ থাকায় রাস্তা পারপার সম্ভব হয়নি। অনেক পথচারী দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পর যখন যানবাহন কম থাকে তখন রাস্তা পার হন।
সরজমিনে সড়কের ওইস্থানে গিয়ে দেখা যায়, ডায়াবেটিক হাসপাতাল এবং বেলভিউ হাসপাতালের মাঝামাঝি স্থানে স্প্রীটব্রেকারের পরিবর্তে সেখানে জেব্রাক্রসিং দেয়া হয়েছে। ওই জেব্রাক্রসিং টি কি কারনে দেয়া হয়েছে যার অর্থ অনেকে বুঝেনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, মোঃ নাঈম হোসেন, ফজলুল হক, ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন, শহীদ মিজি, সাইফুল ইসলামসহ বেশ ক,জন পথচারী এবং স্থানীয়রা জানান, যে কোন গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য সড়কের ওপর স্প্রীটব্রেকার দেয়া হয়। বাসস্ট্যান্ট হতে চেয়ারম্যান ঘাটা পর্যন্ত ৪/৫ টি গুরত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর মধ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিক্ষা অফিস, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বেলভিউ হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল এবং জেলা সড়ক পরিবহন কার্যালয়।
বাসস্ট্যান্ড থেকে চেয়ারম্যান ঘাটা পর্যন্ত চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে এতগুলো সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা সত্বেও ওইসকল প্রতিষ্ঠানের সামনে সড়কের ওপর কোন ধরনের স্পিডব্রেকার নেই।
তাই প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় অনেক ধরনের দুর্ঘটনা। এ সড়কটি পুনরায় নির্মান কাজ করার পর থেকে স্প্রীটব্রেকার না থাকার কারনে প্রায় ২০/৩০ টি দুর্ঘটনা ঘটছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের কাছে জানা গেছে।
তারা জানান, বেশির ভাগ সময়ই রাস্তা পারাপারের সময় অনেক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে। এছাড়া রাস্তাু চওড়া পেয়ে যানবাহন চালকরা বেপরোয়া গতিতে যে যার যার ইচ্ছে মতো গাড়ি চালনার কারনে অনেক সময় মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় চায়ের দোকানদার নাসির এবং ঔষধ ব্যবসায়ী নাঈম জানায় গত ৮/৯ দিন আগেও একটি তেলের লরির সাথে সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে এক যাত্রীর ঘটনাস্থলেই ৩/৪ টি দাঁত উপড়ে পড়ে গুরুতর ভাবে আহত হন। তার দু,দিন আগেও দু, সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে ৫/৭ জন যাত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে।
এছাড়াও অনেকে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে গাড়ির সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন বলে তারা জানিয়েছেন।
দেখাযায় চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ তার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য হাসপাতাল গুলোতে অনেক লোকজন চিকিৎসা সেবার জন্য আসেন। তারা যখন ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কেনার জন্য রাস্তার এক পাশ থেকে অন্যপাশে যান তখনই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সড়কের ওইস্থান গুলোতে যদি দুটি স্পিডব্রেকার থাকতো তাহলে হয়তো বা দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যেতো, এবং যানবাহন গুলো নিয়ন্ত্রণে চলাচল করতো।
শহরের তিনটি হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া এসব অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য সড়কের ওইস্থানে দুটি স্প্রীটব্রেকার নির্মান করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur