চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে রাস্তার দু’পাশ গাছের গুড়িসহ নানা অবৈধ স্থাপনা দিয়ে প্রতিবন্ধিকতা সৃষ্টির কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের তদারকি না থাকায় যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে দূর্ভোগ বেড়েই চলছে।
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর জেলা পরিষদ থেকে বাবুরহাট যাওয়ার পূর্বে সমিলের গাছ দিয়ে সড়কের দু’পাশ দখল করে রাখা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের কোন জায়গা নেই। যার ফলে অনেক সময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। সদর উপজেলার মহামায়া এলাকার জমজম ব্রিজের দু’পাশ গাছের গুড়ি দিয়ে দখল করে নিয়েছে সমিল ব্যবসায়ীরা।
ব্রিজের রেলিংগুলো গাছের গুড়ি দিয়ে নষ্ট করতে দেখা যায়। এছাড়া চাঁদখার দোকানের কাছে একটি চক্র ভবন তৈরিতে ব্যবহার করা গাছের গুড়ি (গাছের বলি) দিয়ে রাস্তার দু’পাশ দখল করে রেখেছে। সদর উপজেলার শাহমাহমুদ ইউনিয়নের সম্মুখ, মহামায়া, বাকিলা, দেবপুর, বলাখালসহ এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়িসহ নানা অবৈধ স্থাপনা ফেলে রাখেন। আর এসব অনিয়ম দেখার মত তেমন কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।
বাবুরহাট এলাকার ইকবাল হোসেন, শাহাদাত বেপারী, জাফর শেখসহ কয়েকজন জানায়, সমিলগুলো গাছের গুড়ি দিয়ে রাস্তার দু’পাশ দখল করে রেখেছে। সামনেই বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়। প্রায় সময়ই পথচারীরা রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
মহামায়া এলাকার সোবহান খলিফা, আব্দুল কাদেরসহ কয়েকজন জানায়, জমজম ব্রিজের দু’পাশ গাছের গুড়ি দিয়ে দখল করে ব্রিজের রেলিংগুলো ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। সরকার ব্রিজের রেলিং দিছে কি গাছ রাখার জন্য। সড়কে এক বাস অন্য বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করে। আমরা সড়কের পাশ দিয়ে জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছি।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আতিক উল্ল্যা ভূঁঞা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সড়কটিতে দিন দিন বেশী যানবাহন চলাচল করছে যা আমাদের দৃষ্টগোচর হয়েছে। প্রায় সময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে নোর্টিশ দেওয়া হয়েছে। তবে অচিরেই প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট