২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২৮ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথভাবে পালনে এক অনুষ্ঠিত সভায়, শিক্ষক, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ২৮ মার্চ তাঁর কার্যালয়ে ও সভাপতিত্বে বেলা ১১ টায় জেলা পর্যায়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, সাংবাদিক, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেন।
সভায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীরশ্রদ্ধা জানানো হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এর গুরুত্ব তাৎপর্য তুলে ধরে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বলেন , ‘ ১৯৭১ সালের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ও তাঁর নেতৃত্বে এদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ভাবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে । তিনি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে চাঁদপুরে ১টি জেলা কমিটিসহ ১৮টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
এ গুলো হলো : পুষ্পস্তবক অর্পণ উপ-কমিটি,আমন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা কমিটি,কুচকাওয়াজ উপ-কমিটি,জাতীয় পতাকা পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটি ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা উপ-কমিটি,মিলাদ মাহফিল কমিটি,প্রচার উপ-কমিটি আলোচনা উপ-কমিটি , মিলাদ ও উপাসনা উপ-কমিটি , অর্থ উপ-কমিটি , আলোকসজ্জা ও উপ-কমিটি, ধারাভাষ্যউপ-কমিটি্।
ইতিমধ্যেই এসব কার্যবিবরণীর চিঠি সংশ্লিস্ঠ ব্যক্তিবর্গ ও দপ্তর দপ্তরে আমন্ত্রণ কার্ডসহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেরণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কর্মসূচি
২৬ মার্চ রাতে সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা ও একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ-সূচনা ও মহান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে অঙ্গীকার পাদদেশে পুস্পস্তবক অর্পণ ও এর পর মুক্তিসৌধ পাদদেশে পুস্পস্তবক অর্পণ, সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮ টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন সংস্থার বা সংগঠনসমূহের ডিস-প্লে প্রদর্শন।
পুলিশ,আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন,কারারক্ষী,বাংলাদেশ স্কাউট,রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড কর্তৃক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হবে।
চাঁদপুরের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রঙ এর পতাকা দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হবে । জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ঠ ভবনের আলোকসজ্জা করা হবে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ চাঁদপুরের সকল সুধিসমাজের ব্যাক্তিবর্গ এতে উপস্থিত থাকবেন ।
বেলা ১১ টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্য ও বীর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্ছিত্র প্রদর্শন। দুপুর ১ টায় হাসপাতাল,জেলখানা,বৃদ্ধাশ্রম,এতিমখানা,শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ বা উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
বাদ যোহর ইফা কর্তৃক আয়োজিত জাতির শান্তি,অগ্রগতি ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, দুপুর ১ টায় হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।
জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া করা হবে।
বিকেল ৩ টায় চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে মহিলাদের আলোচনা সভা,ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, ৪ টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে একাদশ বনাম জেলা প্রশাসন একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হবে। ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন ’শীর্ষক আলোচনা । রাত সাড়ে ৭ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ।
সারাদিনব্যাপি জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সার্বিক নির্দেশে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর আলোচনা,ক্রীড়ানুষ্ঠান, চিত্রাংকন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
আবদুল গনি
২৩ মার্চ ২০২২