আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নভোচারি টিমি পিক পৃথিবীতে তার স্ত্রীর কাছে ফোন করেছেন। কিন্তু সে ফোন চলে গেল রং নম্বরে। প্রথমে বুঝতে না পেরে তিনি রসিকতা করে বলে ফেললেন, ‘হ্যালো, এটা কি পৃথিবী নামের গ্রহ?’
ওপাশ থেকে তখন ভেসে আসা অন্য নারীর কণ্ঠ শুনে পরক্ষণেই তিনি বুঝতে পারেন যে, ফোন ভুল নম্বরে চলে গেছে!
ব্রিটিশ নভোচারী টিম পিক দীর্ঘ ছয় মাস কাটাবেন মহাকাশে। তিনি হলেন প্রথম ব্রিটিশ নভোচারী, যিনি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে গিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক এই মহাকাশ স্টেশনে তিনি হয়তো অনেক কিছু অর্জন করছেন। কিন্তু পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে তিনি যে একেবারে পটু নন, তা অবশ্য প্রমাণ হয়ে গেছে।
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে মহাকাশে ঘোরার সময় টিম পিকের ইচ্ছে হয়েছিল নিজের বাড়িতে ফোন করার।
ফোনও করেছিলেন তিনি। এপাশে একজন নারী ফোন তোলার পর মি. পিক রসিকতাভরা হালকা সূরে জানতে চাইলেন: ‘হ্যালো, এটা কি পৃথিবী নামের গ্রহ?’
কিন্তু তিনি খুব দ্রুতই বুঝতে পারলেন যিনি ফোনটি তুলেছেন, তিনি তার স্ত্রী রেবেকা নন।
পরে এক টুইট বার্তায় তিনি ভুল নম্বরে ডায়াল করার জন্যে ক্ষমা চান। সেখানে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে করে তিনি ভুল নম্বরে কল করেননি।’
টিম পিক অবশ্য বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন মহাকাশ থেকে। কিন্তু তারা তখন বাড়িতেই ছিলেন না।
পশ্চিম সাসেক্সের বাসিন্দা টিম পিক দুই সন্তানের পিতা। দশ দিন আগে সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজর মহাকাশে যান সরকারের ব্যবস্থাপনায় বৈজ্ঞানিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্যে।
হেলেন শ্যারমান ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ নাগরিক যিনি মহাকাশে গিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি গিয়েছিলেন সোভিয়েত ‘মির’ মহাকাশ যানে। এরপর যেসব ব্রিটিশ মহাকাশে গিয়েছিলেন, তারা গিয়েছিলেন হয় ব্যক্তিগতভাবে কিংবা মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। সূত্র : বিবিসি।
ডেস্ক ।। আপডেট : ০৯:২২ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
ডিএইচ