নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে এসি বিস্ফোরণে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের একজনসহ মৃত্যু বেড়ে ২৩ জন হয়েছে। এরমধ্যে শনিবার দিবাগত রাতেই মারা গেছেন চারজন।
চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড জিটি রোডে দক্ষিণ গণি মিজি বাড়ির আবদুল করিম মিজির বড় ছেলে মোস্তফা কামাল। তার মা-বাবা, সহোদর দু’ভাই ও স্ত্রী লুবনা আক্তারের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। তার মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
মোস্তফা কামালের বন্ধু আল ইমরান সরকার জানান,সে তার পরিবারের একজন চালিকা শক্তি ছিল। নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় সে টিটু স্যার নামে সকলের পরিচিত ছিলেন। গত বছর সে বিয়ে করেছে। তার শ্বশুর বাড়ি কোড়ালিয়ার নতুন রাস্তা এলাকায়।
দক্ষিণ বিষ্ণুদী বায়তুছ ছালাম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শনিবার বাদ মাগরিব তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ওই মসজিদের ইমাম মাওঃ মোঃ ইয়াছিন। জানাজায় বিপুল সংখ্যক মুসলি্ল অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
৬ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে মারা গেছেন একজন।তারা হলেন, আবদুল মালেক (৬২), মিজান হোসেন নিজাম (৪০), নাদিম (৪৫), শামীম (৪৫) ও জুলহাস।
রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বলেন, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে শামীম নামে আরও একজনের মৃত্যুর খবর দেন তিনি। পরে সকালে জুলহাস নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে মারা গেলেন মোট ২৩ জন।
করেসপন্ডেট,৬ সেপেটম্বর ২০২০