জাতীয়

মসজিদে বিস্ফোরণ : প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সে রাতে যা ঘটেছিলো

রুদ্র মিজান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে বিস্ফোরণের পর থেকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদের সামনে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। ফটক তালাবদ্ধ। ভেতরে ‘ক্রাইম সিন’ হলুদ বারে ঘিরে রাখা হয়েছে। মেঝেতে পড়ে আছে ভাঙা কাচের টুকরো। বিদ্যুতের তার। খসেপড়া কংক্রিট আর পুড়ে যাওয়া প্লাস্টিকের প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের ভষ্মীভূত অংশ। মেঝে, দেয়ালজুড়ে সেই রাতের বিভীষিকাময় চিহ্ন। মানুষের রক্ত, মাংস, চামড়া লেপ্টে আছে।
চামড়া শুকিয়ে মিশে আছে মেঝেতে।

বাইরে বসে, দাঁড়িয়ে সেই ভয়াল রাতের কথাই বলছিলেন আশেপাশের লোকজন। এখনো ভয়ে আঁতকে উঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেই রাতে মুহূর্তের মধ্যেই সব ধ্বংস হয়ে গেছে। তাণ্ডবলীলা ঘটেছে এই মসজিদে।

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা ট্র্যাজেডি কেড়ে নিয়েছে অনেকের জীবন। এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন অনেকে। দগ্ধরা জানিয়েছেন, যেন কেয়ামত দেখেছেন তারা। হঠাৎ এই বিস্ফোরণের কী কারণ, এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সব তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে গ্যাস লিকেজ, বিদ্যুতের ত্রুটি। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নাশকতার বিষয়টিও।

এ ঘটনায় নির্মাণ ত্রুটি ও দায়িত্বে অবহেলার কারণ উল্লেখ করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত। শনিবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

রোববার ৬ সেপ্টেম্বর সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা গেছে, মসজিদের সামনের চামাড়বাড়ি সড়কে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। মাসের পর মাস এই পানির ওপর দিয়েই চলাফেরা করেন লোকজন। মসজিদের দেয়াল ঘেঁষে সড়কের নিচ দিয়ে চলে গেছে গ্যাস লাইন। মসজিদে রয়েছে বিদ্যুতের দু’টি সংযোগ। একটিতে লোডশেডিং চললে অন্য সংযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।

শুক্রবারের সেই রাতে মসজিদে এশার নামাজ পড়েছেন ষাট বছর বয়সী বজলুর রহমান। মসজিদের পাশেই ‘বিস্‌মিল্লাহ স্টোর’ নামে তার দোকান। পাশে বাসা। স্ত্রীকে দোকানে রেখে মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি।

সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বজলুর রহমান জানান, ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নাত ও তিন রাকাত বেতর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হন তিনি। মসজিদ থেকে বের হয়ে দোকানের কাছে যেতেই একটা বিকট শব্দ শুনতে পান। পেছনে তাকিয়ে দেখেন মসজিদ ও সড়কজুড়ে বিজলির মতো আলো। উড়ছে আগুনের কুণ্ডলি। ‘আগুন আগুন, বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছেন অনেকে। অনেকেই দৌড়ে বের হয়েছেন মসজিদ থেকে। অনেকে মসজিদের ভেতরে পড়ে ছিলেন। কারও শরীরে পোশাক নেই। মুহূর্তের মধ্যে সবার চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। চেনার উপায় নেই।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম বিপ্লব জানান, তিনি ডিপিডিসিতে কল দিয়ে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বলেন। তারপরই স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।

উদ্ধারকর্মী সবুজ আহমেদ জানান, শরীরে জামা কাপড় নেই। চামড়া নেই। চামড়া উঠে গেছে। কারও কারও মাংস বের হয়ে গেছে। দগ্ধ কেউ কেউ সামনে ময়লা পানিতে গড়াগড়ি দিচ্ছিলেন। এরমধ্যেই এক বিবস্ত্র ব্যক্তিকে রেললাইনের পাশে দেখতে পান স্থানীয়রা। চেহারা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। লোকজন চিনতে পারছিল না- তিনি কে? পরিচয় দিয়ে বলছিলেন, ‘আমাকে বাঁচাও। আমি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাউদ।’

উদ্ধারকর্মীরা জানান, তারা যখন ইমাম আব্দুল মালেককে উদ্ধার করতে যান তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কিচ্ছু হয়নি। আপনারা মুসল্লিদের উদ্ধার করেন।’ কিচ্ছু হয়নি বললেও দগ্ধ ইমাম আব্দুল মালেক ও তার শিশু সন্তান মারা গেছেন এই বিস্ফোরণে।

নিহত ইমাম ও তার শিশুপুত্র (ফাইল ছবি(

বিস্ফোরণে মারা গেছেন সাইফুল ভিলার মালিক কুদ্দুস ব্যাপারী (৭০)। তার ছেলে সোহেল ব্যাপারী (৪০) বাবার সঙ্গে নিয়মিত নামাজে যেতেন। সোহেল ব্যাপারী জানান, মসজিদে নামাজ পড়তে গেলেই গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেত। প্রায় এক বছর যাবৎ গ্যাসের গন্ধ অনুভব করছিলেন মুসল্লিরা। মসজিদের দেয়ালের বাইরে মাটির নিচ দিয়ে চলে গেছে গ্যাসলাইন। প্রায় ৩০ বছরের পুরনো লাইন এটি। গত কিছুদিন যাবৎ গ্যাসের গন্ধ তীব্র হচ্ছিল। এসি ছাড়া থাকলে গ্যাসের গন্ধে অনেকেই টিকতে পারতেন না। এসি বন্ধ করতে হতো। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুতের লাইন পরিবর্তন বা সুইচ দিতে গিয়ে স্পার্কিং হতে পারে। আর সেটা থেকে মসজিদের ভিতরে ছাদের অপসনে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণে এসির কিছু অংশ পুড়ে গেলেও পুরোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর মিয়া গত শনিবার সাংবাদিকদের জানান, সাত দিন আগে মসজিদের মেঝে দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছিল। ধারণা করছিলেন, গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে তা বের হচ্ছে। তাই নারায়ণগঞ্জে তিতাসের আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে গ্যাস লাইন সরাতে বলেন। অফিসের এক কর্মকর্তা গ্যাস লাইন সরানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চান বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিতাসের নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মফিজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন : চাঁদপুর জেলাজুড়ে অবৈধভাবে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

রোববার সকালে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ফায়ার সার্ভিসের একটি তদন্ত দল বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক নুর হাসান উপস্থিত ছিলেন। একইভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিস্ফোরণের পর গ্যাস বন্ধ, লাকড়ি দিয়ে রান্না: মসজিদে বিস্ফোরণের পর তল্লা এলাকাসহ আশপাশের বাসা-বাড়িতে গ্যাস লাইনের সংযোগ সাময়িক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ৫০-৬০ হাজার মানুষের রান্না-বান্না প্রায় বন্ধ। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত গ্যাস লাইন চালু করা হয়নি।
জানা যায়, মসজিদে বিস্ফোরণের পর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তিনদিনেও গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়নি। বাসা বাড়িতে গ্যাস না থাকায় লাকড়ি দিয়ে রান্না-বান্না সারছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, তল্লা এলাকাসহ আশেপাশের মহল্লায় ৫০-৬০ হাজার মানুষের বসবাস। কোনোরকম মাইকিং, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তিনদিন ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে তিতাস। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে লাকড়ি ও খড়কুটো দিয়ে রান্নার কাজ সারছেন স্থানীয়রা।

তল্লা এলাকার বাসিন্দা আসমা বেগম জানান, তিনদিন ধরে গ্যাস নেই। রান্না তো না করে পারি না। লাকড়ি ও খড়কুটো জোগাড় করে রান্নার কাজ করছি। কবে গ্যাস আসবে জানি না। গ্যাস না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে পারছি না। রান্নার অভাবে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে আছে।
তিতাস অফিস সূত্র জানায়, তদন্তের আলামত রক্ষার স্বার্থে মসজিদ এলাকার দুটি গ্যাস বাল্ব বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা আজ লাইন খোলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তদন্ত সংশ্লিষ্টরা খুলতে দেয়নি।

তিনদিন ধরে গ্যাস বন্ধ থাকার বিষয়ে মাইকিং কিংবা কোনো ঘোষণা দিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিতাস অফিসের কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু সবাই মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা জানেন তাই মাইকিং করার দরকার মনে করেননি তারা। এমনকি কবে নাগাদ গ্যাস চালু হতে পারে সে বিষয়েও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিতাস কর্মকর্তারা।

এতো প্রাণহানি সরকারের ব্যর্থতা:
ডা. জাফরুল্লাহ: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা আমাদের ভুলভ্রান্তিকে অন্যের ঘাড়ে চাপাতে ভালোবাসি। মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানি ‘সরকারের ব্যর্থতা’। সরকার এটা ঘটায়নি কিন্তু দগ্ধদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করতে পারা তাদের ব্যর্থতা। তারা প্রত্যেক সময় অর্ধেক কাজ করে বিলীন হয়ে যান। তারা যদি সচেতন থাকতো তাহলে অর্ধেক লোকও মারা যেত না। অর্ধেক লোক শান্তি পেত যদি এখানেই (নারায়ণগঞ্জে) চিকিৎসা করা যেত।
গতকাল দুপুরে দুর্ঘটনাকবলিত নারায়ণগঞ্জে পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদ পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জের কোনো হাসপাতালে দগ্ধ রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকাতে দুঃখ প্রকাশ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এটাই একমাত্র ঘটনা। এখানে আসার আগে আমি বার্ন ইউনিটে গিয়েছিলাম। অনেক কষ্টে আমি আমার কান্না থামিয়ে রেখেছি। একটা দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখানে তাদের যে চিকিৎসাটা দেয়া উচিত ছিল সেটা হয় নাই। এত বড় একটা জেলা শহর, এত বড় একটা হাসপাতাল। এখানে উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে মরফিন ইনজেকশন দেয়া তাহলে ব্যথাটা থাকতো না। দুর্ভাগ্য যে আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। অথচ ওষুধের দাম খুব বেশি না। একটা ইনজেকশনের দাম ৩৫ টাকা মাত্র। সরকার চাইলে মৃত্যুর সংখ্যাটা আরো কমাতে পারতো।

‘এখান থেকে ঢাকাতে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময়। এই যে কষ্টটা, আগুনে পোড়ার এই ব্যথাটা আপনারা উপলব্ধি করতে পারবেন না। আমাদের সরকার একটু সতর্ক হলে একটু ব্যবস্থা নিলে ২৪ জনের জায়গায় অর্ধেক লোক কম মারা যেতো।’ মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্যের এই প্রতিষ্ঠাতা।

দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, এখানে স্বাস্থ্য বিভাগেরও একটা ব্যর্থতা আছে। এখানে তারা প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালে একটা বার্ন ইউনিট দেয়া। এটা কিন্তু খুব সোজা কাজ। এবং এর খরচও বেশি না। দুই দিনেই যেকোনো ডাক্তারকে খুব ভালোভাবে ট্রেনিং দেয়া যায়। আগামী এক মাসের মধ্যে ৬৪ জেলায় কম করে দুইজন ডাক্তারকে দুই থেকে তিন দিনের ট্রেনিং দিয়ে সেটা খুব সহজে করা যায়। প্রয়োজনে আমিও সরকারকে সহযোগিতা করবো।

বিস্ফোরণে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের সম্পর্কে শুধু আলোচনা হবে, পরীক্ষা হবে এই সমস্ত আজগুবি কথা না বলে এটার ৭ দিনের মধ্যে একটা বিচার হওয়া উচিত।

তিতাস অফিস ঘেরাও:
এদিকে তিতাস গ্যাসের অব্যবস্থাপনায় তল্লা মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও গ্যাস লাইন সংস্কারে ঘুষ দাবিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক অফিস ঘেরাও করেছে ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখা।

৬ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে শহরের চাষাড়া বালুর মাঠস্থ তিতাস গ্যাসের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, শুক্রবারের বিস্ফোরণে যে সকল লোকজন দগ্ধ হয়েছে তাদের পরিবারকে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। এবং যারা গুরুতর আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও যারা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে।

বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে বিএনপি: ইশরাক: মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমার মনে হয়েছে এখানে যে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী যে সেফটি রেগুলেশন কোড থাকা দরকার সেটি এখানে নেই। এখানে বিদ্যুৎ বিভাগ, গ্যাস বিভাগ ও স্থানীয়দের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। মসজিদের সামনের সড়কে সব সময় পানি জমে থাকে। ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশনের মাঝামাঝি পড়ায় কেউই এখানে দায় নিতে চায় না।

রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এখানে এমন আরো অনেক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি জোরালো দাবি জানাবো ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। (মানবজমিন)

৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

Share