করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন আলেম-ওলামাগণ। মঙ্গলবার ২৪ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এক বৈঠকে আলেম-ওলামগণ এমন মত দিয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন এ কথা জানান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্যাডে ‘করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে বিশিষ্ট আলেমগণের মতামত’ এ বলা হয়,‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষায় আকস্মিক পদক্ষেপ হিসেবে সর্বপ্রকার জমায়েত বন্ধের পাশাপাশি মসজিদসমূহে পাঁচওয়াক্ত নামাযে সম্মানিত মুসল্লিগণের উপস্থিতি সীমিত ও ক্ষুদ্র পরিসরে রাখা যেতে পারে। ’
মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে মসজিদে আজান ও জামাত যথাসম্ভব বজায় রাখবেন। মসজিদ বন্ধ থাকবে না তবে সর্বসাধারণ নিজ নিজ গৃহে অবস্থান পূর্বক সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করে নিবেন।
সবাই ব্যক্তিগতভাবে তওবা, ইস্তিগফার অব্যাহত রাখবেন। মহান আল্লাহর ক্ষমা,দয়া ও করুণা প্রার্থনা করে দোয়া করুন। মহান আল্লাহ আমাদের দ্রুত মুক্তির দুয়ার উন্মুক্ত করুন। আমিন।’
মতামত দিয়েছেন আল-হাইআতুল উলিয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, মারকাযুত দাওয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক, শায়খ যাকারিয়া (র.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ, জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দিলওয়ার হোসাইন, জামেয়ার রহমানিয়া মোহাম্মদপুরের মাওলানা মাহফুজুল হক ও ঢাকা নেছারিয়া কালিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড.আল্লামা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী।
জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন বলেন, ‘মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত করার পক্ষে আলেম-ওলামাদের মতামত এসেছে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ , ২৫ মার্চ ২০২০