চাঁদপুরে মশুর-মুগ-খেসারী-মাসকলাই উৎপাদন ১৪শ’মে.টন

চাঁদপুরে চলতি রবি মৌসুমে মশুর-মুগ-খেসারী-মাসকলাই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪শ’মে.টন এবং মোট চাষাবাদ ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমি।

চাঁদপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ির চলতিবছরে বার্ষিক চাষাবাদ ও রবি ফসলের উৎপাদন নির্ধারণ লক্ষ্যমাত্রার প্রতিবেদন পত্র থেকে প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরে চলতি রবি মৌসুমে ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৪শ মে.টন।

এদিকে চাঁদপুরের সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও কৃষি ব্যাংকের সকর উপজেলা শাখা গুলোতে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ডাল,তৈলবীজ,মশলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষাবাদে ৪ % সুদে কৃষকদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে ।

ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা কৃষি কমিটির সভায় প্রদত্ত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে চাঁদপুরের কৃষক ও কৃষক পরিবারও নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে খুবই আগ্রহী। জলবায়ূ পরিবর্তনে ফলে তাদের যথাসময়ে ও সঠিকভাবে প্রদর্শিত পথ দেখাতে পারলে খাদ্য ঝুঁকি এড়াতে সক্ষম হতে পারবে।

মেঘনার পশ্চিমতীরে রয়েছে ১১টি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ও বেশ কটি এলাকা। এ এলাকার প্রায় ৩ লাখ অধিবাসী সরাসরি কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত।

ধান,গম,আলু,পাট,আখ,ভূট্টা,পেঁয়াজ,রসুন,তিল,মুগ-মুসারি, মিষ্টি আলু,সোয়াবিন ও বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাঁদপুর জেলার প্রধান ফসল। কৃষকরা বর্তমানে লাঙ্গলের পরিবর্তে ট্রাক্টর, হোচার পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত স্যালো বা ডিপ নলকূপ দিয়ে পানি সেচ,গোবরের সারের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকার উন্নত রাসায়নিক সার ব্যবহার,বোনার পরিবর্তে সারিবদ্ধ ভাবে ধান রোপণ, উন্নত বীজ,পরিমিত কীটনাশকের ব্যবহার,নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইরি-বোরোর বাম্পর ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষিবিদরা জানান।

এ ছাড়াও চাঁদপুর জেলা একটি নদীবিধৌত কৃষি ভিক্তিক অঞ্চল বিধায় কৃষকরা সময়মত চাষাবাদ,বীজ রোপণ বা বীজবপন করে সঠিক পরিচর্যায় পারদর্শ প্রদান করা হয়।

চাঁদপুরে নদীবিধৌত,আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের এসব চাষে আগ্রহ,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রযুক্তি প্রদান,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত,কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা,বীজ,সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা এসব চাষে আগ্রহী বলে জানিয়েছে চাঁদপুর কৃষি বিভাগ।

আবদুল গনি,
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Share