মশা যে সব মানুষকেই কামড়ায় এমন কিন্তু না। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা বলছে, মানুষের মধ্যে নারীদের চেয়ে পুরুষের রক্তের প্রতিই বেশি আগ্রহী মশারা। গবেষকরা বলছেন, পুরুষের বিশালাকার শারীরিক গড়নের জন্যই মশাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তারা। কারণ, স্থূলকায় পুরুষের শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং তাদের নিঃশ্বাসের সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইডও বেশি নির্গত হয়।
অন্যদিকে, আরেকদল গবেষক বলছেন, নারীদের মধ্যে সন্তানসম্ভবা নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশারা। কারণ হিসেবে পুরুষদের ক্ষেত্রে বলা কারণগুলো অর্থাৎ নিঃশ্বাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের আধিক্য ও দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বলছেন গবেষকরা। সন্তানসম্ভবা নারীদের অন্যান্য নারীদের তুলনায় নিঃশ্বাসের সাথে ২১ শতাংশ বেশি হারে কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়।
নিউ ইয়র্কের অ্যালার্জি ও অ্যাজমা কেয়ার বিষয়ক চিকিৎসক ক্লিফোর্ড ডব্লিউ ব্যাসেট বলছেন, কার্বন ডাইঅক্সাইডের পাশাপাশি মানুষের শরীরে থাকা ল্যাকটিক এসিডেও আকৃষ্ট হয় মশা। এই ধরনের কেমিকেলগুলো প্রায় ৩০ মিটার দূরে থেকেই চিহ্নিত করতে পারে প্রাণীগুলো।
যেসব মানুষ ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করে থাকেন তাদের প্রতিও বিশেষ আকর্ষণ বোধ করে মশা। কারণ সেই ল্যাকটিক এসিডই। শারীরিক পরিশ্রমের পর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ল্যাকটিক এসিড নির্গত করে আমাদের শরীরের মাংসপেশিগুলো। আর এই উপাদানের ঘ্রাণ পেয়েই ছুটে আসে মশার দল।
মশাদের আকর্ষণের গিনিপিগ হওয়ার আরেকটি কারণ রক্তের গ্রুপ। আপনার রক্তের গ্রুপ যদি ‘ও পজিটিভ’ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মশাদের অত্যন্ত প্রিয় খাবার! গবেষকরা বলছেন, মশার কামড় খাওয়ার হার এই গ্রুপের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৩ শতাংশ।
বার্তাকক্ষ, ০৮ জুন, ২০২১;
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur