বরিশালের বানারীপাড়ার মলুহার ওয়াজেদিয়া দ্বিতীয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যেন একটি লাল- সবুজ পতাকা ও আদর্শলিপি বই। বিদ্যালয়ের দু’টি ভবনের বাইরের এবং ভেতরের চিত্র দেখলে সবার মনেই এমন ধারণা আসতে বাধ্য।
ভবনের কক্ষের দেওয়ালে দেওয়ালে বর্ণমালা, মনীষীদের উক্তি ও রঙধনুর সাত রঙ ও প্রজাপতির মেলাসহ প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি অঙ্কন করে রাখা হয়েছে। রয়েছে শিক্ষণীয় মীনা কাটুন।
১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি অ,আ ও ক, খ শেখানোর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। আদর্শ এ বিদ্যালয়টি সেই থেকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করছে গ্রামীণ জনপদ ইলুহার ইউনিয়নের কোমলমতি শিশুদের।তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে ক্লাস রুটিন অধ্যয়নের পাশাপাশি আদর্শ সমাজ ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে করণীয় বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এক ঝাঁক সৃষ্টিশীল উদ্যোমী শিক্ষক।
কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা ধারণ করানোর দৃঢ় প্রয়াসে সম্পূর্ণ বিদ্যালয় ভবনটি জাতীয় পতাকার আদলে রঙ তুলির আঁচরে সাজানো হয়েছে।
এখানে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনই নয় একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় তাদের রপ্ত করানো হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৮০ জন শিশু শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। লেখাপড়ার মান, ফলাফল এবং খেলাধুলাসহ সবদিক দিয়েই বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে একটি অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের চলন-বলন দেখলে মনে হবে ওরা যেন একেকটি ফুটন্ত ফুল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা বেগম বলেন, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে তিনি সব শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম আহসান বলেন,‘শৈশবে শিক্ষার্থীদের মাঝে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা,মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের বীজ বপন করে দিতেই এ প্রয়াস। তার ক্লাস্টারের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একইভাবে সাজানো হবে বলেও তিনি জানান। ‘
বার্তা কক্ষ , ২৫ অক্টোবর ২০১৯