মর্গে মৃত কিশোরীদের ধর্ষণ: বিচার চেয়ে কাঁদলেন তার বাবা

ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণকারী মুন্না ভগতের বিচার চাইলেন তার বাবা দুলাল ভগত । সে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেপ্তার হয় ডোমের সহযোগী মুন্না।

সরেজমনি মুন্নার বাবা দুলাল ভক্তের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, মুন্না গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় কাজে চলে যায়। এরপর আমার স্ত্রীর ভাই (মুন্নার মামা) যতন কুমার লালের সঙ্গে মর্গে ডোমের সহযোগী হয়ে প্রায় দেড়বছর ধরে তার বাসায় থেকে কাজ করতো। শুক্রবার স্থানীয় মানুষের মুখে শুনলাম, আমার ছেলে মুন্না ভক্ত যেখানে কাজ করত সেখানে নাকি নোংরা, নিকৃষ্ট একটা কাজ করছে।

সেই সাথে এলাকার অনেক লোকজন এটা নিয়ে নানারকম কথাবার্তা বলছে। তবে মুন্না যে কাজ করেছে তা অন্যায় আমি ওর সঠিক বিচার চাই। এ কথা বলে কেঁদে ফেলেন মুন্নার বাবা।

আরো খবর : হাসপাতালের মর্গে মৃত কিশোরীদের ধর্ষণ করতো মুন্না ভগত

স্থানীয় ওই এলাকার বাসিন্দা স্বপন ভক্ত বলেন, মুন্নার কথাবার্তা আচার আচরণ আগে থেকেই খুব খারাপ ছিলো, তবে সে মাঝে মধ্যে নেশা করতো বলে শুনতাম। পরে আমাদের এখান থেকে মুন্না ঢাকায় কাজের জন্য চলে যায়, যদি মুন্না এতো জঘন্য কাজ করে থাকে আমরা তার বিচার চাই।

গোয়ালন্দ পৌরসভার সুইপার কলোনির বাসিন্দা রাজেশ ভক্ত বলেন, নিজে মানুষ হয়েও যে মৃত মানুষের সাথে এ রকম কাজ করে সেকি মানুষ নাকি অন্যকিছু। আমি ওর সঠিক বিচার চাই। এমন বিচার হওয়া উচিত যে, পৃথিবীতে যে কোনে মানুষ আর এই জঘন্য কাজ না করতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর মরদেহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,২২ নভেম্বর ২০২০

Share