Home / চাঁদপুর / মরহুম মিজানুর রহমানের কবর জিয়ারতে অ্যাড. মাহবুবুল আলম দুলাল
No Pic Chandpur Times
এ সংবাদের সংশ্লিষ্ট ছবি প্রকাশ হয়নি।

মরহুম মিজানুর রহমানের কবর জিয়ারতে অ্যাড. মাহবুবুল আলম দুলাল

স্বাধীনতার অন্যতম রূপকার ও ৬ দফা ভিত্তিক স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান সংগঠক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. মাহবুবুল আলম দুলাল।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বেলা ১২টায় পুরাণবাজার পূর্ব শ্রীরামদী এলাকায় চৌধুরীর পারিবারিক কবরস্থানে গিয়ে তাঁর কবর জিয়ারত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগীয় প্রধান মো. আলাউদ্দিন।

মাহবুবুল আলম দুলাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক সদস্য, মুক্ত বাংলাদেশীর আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী ছিলেন উপমাহদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও কিংবদন্তীর মহানায়ক তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি সৃষ্টি কারক ৬ দফা ভিত্তিক আন্দোলনের (১৯৬৫) পাক ভারত যুদ্ধে অরক্ষিত তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান ইসুতে পার্লামেন্ট ডিবেট এর অন্যতম একজন।

মাহবুবুল আলম দুলাল বলেন, কলেজ থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। যখন শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারাগারে ছিলেন তখন তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ১৯৬৭ সালে তিনি নিজেও গ্রেফতার হন। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তিনি সম্মিলিত বিরোধী দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, মিজানুর রহমান চৌধুরী তিনি চাঁদপুরের সন্তান। আমি আমি তার একজন সৈনিক বা ভক্ত হিসেবে তার নিজ জেলায় যাতে যথাযথ সম্মান-মর্যাদায় তার মৃত্যু বার্ষিকী পালক করা হয়।

প্রসঙ্গত, আশির দশকের শুরু দিকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক সরকারকে সমর্থন দেন এবং জাতীয় পার্টিতে (সে সময়ে) নাম জাতীয় দলে যোগ দেন (১৯৮৪)। ১৯৮৬ তে প্রধানমন্ত্রী হন। এরশাদের রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন তিনি দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মার্চ, ১৯৮৮ তে মওদুদ আহমেদ তার স্থলে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯০ সালে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেন। ১৯৯০ তে এরশাদ সরকার পতনের পর এরশাদ জেলে থাকাকালীন তিনি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।

প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৫৫ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৭, শুক্রবার
এইউ

Leave a Reply