Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / মরণঘাতি রূপসা সড়কের টেন্ডার হলেও কাজ করছে না ঠিকাদাররা
rupsa-road-fact
ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কের বেহাল দশা। ছবি- চাঁদপুর টাইমস

মরণঘাতি রূপসা সড়কের টেন্ডার হলেও কাজ করছে না ঠিকাদাররা

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ন ফরিদগঞ্জ বাজার-টু রূপসা সড়ক দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এই সড়কটি হচ্ছে ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়ক। লন্ডভন্ড সড়কের কারনে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধই রয়েছে। ফলে মরণঘাতি এ সড়কটি যেন এখন ফরিদগঞ্জের সড়কের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওর পথে। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে যার যার গন্তব্যে যেতে চরম আকারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

দীর্ঘ সময়েও ওই সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন স্থানিয় সাংসদ,জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি জরুরী ভিত্তিতে সড়কটি সংষ্কারের জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী ডঃ জিয়াউল ইসলাম মজুমদারকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ভুক্তভোগীরা জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে রূপসা গঙ্গাজলী ব্রীজ পর্যন্ত যাতায়াতের সড়কটি এখন মূলত মরন ফাঁদ পরিনত হয়েছে। প্রায় ৬ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যের ওই সড়কটির উপরের পিচ সম্পূর্ন উঠে গেছে। রাস্তাটিতে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। রাস্তাটি দেখে মনে হয়, এটি যেন বর্তমানে এক কংঙ্কালসার দেহ নিয়ে পড়ে আছে। ফলে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ।

অথচ এই সড়কটি দিয়ে এক সময়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করতো। এ ছাড়াও ফরিদগঞ্জ থেকে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের রূপসা, খাজুরিয়া,আষ্টা,গল্লাক সহ পাশবর্তী লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা বিশাল জনগোষ্ঠীর চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি।

এ বিষয়ে মেসার্স কনটেম্পরারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার আমির আজম রেজা বলেন,এ সড়কটি এর আগে দুই বার টেন্ডার হলেও আমি ৩য় বারের সময় টেন্ডার ড্রপিং করেছি। বর্তমানে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়ার্ক পারমিট চলমান রয়েছে, যদি তা না হয় তাহলে দেশীয় অর্থায়নে নতুন ভাবে টেন্ডার শুরু হবে।

লন্ডভন্ড সড়কটির ব্যপারে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভুক্তভোগী বড়ালী গ্রামের কামরুল ইসলাম,সফিক, সোহেল বলেন,দীর্ঘ সময়েও রাস্তাটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় আমাদের চলাচল করতে কি পরিমান যে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে তা বলে কয়ে কাউকে বুঝাতে পারবো না। সিএনজি চালক রূপসা এলাকার জসিম উদ্দীন বলেন,এই রাস্তা দিয়ে গাড়ী চলাতো দূরের কথা হেঁটে যাওয়া কষ্টকর। ফরিদগঞ্জ থেকে রূপসা যেতে হলে বাধ্য হয়ে আমাদেরকে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে গাব্দেরগাঁও এলাকার একটি সরু রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।

এ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী ডঃ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ফরিদগঞ্জ রূপসা সড়কটি সংষ্কারের জন্য চলতি মাসের ১৯ ডিসেম্বর টেন্ডার ড্রপিং হবে। এমপি মহোদয় ওই রাস্তটি জনস্বার্থে দ্রুত সংষ্কারের জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে কবে নাগাদ লন্ডভন্ড সড়কটির সংষ্কার কাজ শুরু হবে তা সুষ্পষ্ট ভাবে কেউই বলতে পারছে না।

অপরদিকে ফরিদগঞ্জ রূপসা সড়কের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান আ্যডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সড়কটি সংষ্কারের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত সড়কটির কাজ শুরু করতে ব্যক্তিগত ভাব আমি একাধিকবার ঢাকায় গিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। তবে শুনেছি আগামী ১৯ ডিসেম্বর ওই সড়কের কাজের টেন্ডার ড্রপিং হবে। আশা করি এবার ফরিদগঞ্জ–রূপসা যাতায়াতের লন্ডভন্ড সড়কটি কাজ সহসাই শুরু করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিবেদক:মো.শিমুল হাছান