ঈদে বাড়ি যেতে কার না মন চায়। আমাদেরও ফিরে যেতে নাড়ির টান আসে। মন কাঁদে তার জন্য। কিন্তু যেতে চাই না! গেলেই নানা প্রশ্ন, কী জব করছেন? কেন করছেন না বা হচ্ছে না? শিক্ষাজীবনে এসব নিয়ে লজ্জার সম্মুখীন হতে হয়। আর এ বিড়ম্বনা এড়াতেই মন চাইলেও বাড়ি যাই না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ক্যাম্পাসে ঈদ করেন। দেশের চাকরির বাজারে সংকটের কারণে এসব শিক্ষার্থীদের বেকারত্বের গ্লানি বয়ে বেড়াতে হয়। যার ফলে প্রতি বছর ঈদ আসলেও তাদের জীবনে আনন্দ বলতে কিছুই থাকে না। বেকারত্বের গ্লানিতেই ম্লান হয়ে যায় তাদের ঈদানন্দ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০০৫-০৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন মোস্তফা (ছদ্মনাম)। বিসিএস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছেন একের পর এক। কখনও প্রিলি, কখনও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভাইভা দিয়েও কাঙ্ক্ষিত চাকরি মেলে নি এখনও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্য সেন হলের এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরিবারের বড় ছেলে আমি। স্বভাবতই আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন সবাই। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, সেই প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু অনেক নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েও কিছু হয়নি। এজন্য এবারও ঈদ ক্যাম্পাসে করতে হবে..।’
শুধু মোস্তফা নয়, এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের বাড়ি যেতে মন চাইলেও এই গ্লানি নিয়ে ক্যাম্পাসেই ঈদ করেছেন।
মুসলমানদের দুইটি ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল ফিতর। কুরবানির ঈদে পরিবারের সবাই এক সঙ্গে না হতে পারলেও এই ঈদে সবাই মিলিত হওয়ার চেষ্টা করেন।
রমজান উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়েছে অনেক আগেই। পরীক্ষা, টিউশনি, রাজনীতির কারণে অনেকেই হলে থেকেছেন ছুটিতেও। এখন ঈদ কাছে আসায় অধিকাংশই বাড়ির পানে ছুটেছেন। কিন্তু যাদের আর্থিক সমস্যা রয়েছে, তারা বাড়ি যাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারেন না।
বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র আক্তার জামিলের মতো কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর অবস্থা আবার ভিন্ন। আক্তার বলেন, ঈদের পরে বিসিএস’র লিখিত পরীক্ষা হবে। আব্বুর অসুস্থতার কারণে অনেক দিন পড়া হয়নি। যার কারণে প্রস্তুতি সেভাবে হয়নি।
বার্তা কক্ষ