জাতীয়

মন্ত্রিসভার সদস্যদের সর্তক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

দেশে চলমান গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সর্তক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সর্তক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি সহকর্মীদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিসভার দু’জন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্রটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম, ঢাকার মিরপুরে এবং গাজীপুরে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে এ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সারাবিশ্বে একটি অস্থির পরিস্থিতি চলছে। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশেও নাশকতা তৈরির চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে আমাদের সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনায় দেশি ও বিদেশি চক্র জড়িত। তাই আপনাদের (মন্ত্রিসভার সদস্য) সর্তক থাকতে হবে। কোনভাবেই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হতে দেয়া যাবে না। আমরা কোন ধরনের অস্থিরতা মেনে নিবো না। তবে এই হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কোন মন্তব্য করেন নি প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। শফিউল আলম বলেন, ১৯৫০ সালে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের একটি আইন ছিল। কিন্তু এটি পূর্ণাঙ্গ ছিল না। তাই নতুন করে এ আইনটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এ আইনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর নামে একটি অধিদপ্তর করার কথা বলা হয়েছে। এর সদর দপ্তর থাকবে ঢাকায় এবং এ অধিদপ্তরের জনবল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কেউ যদি শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে যুক্ত হন, তা হলে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের আইন দ্বারা শাস্তি নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ট্যুরিজম বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

পর্যটনকে আরও গতিশীল করার জন্য এই এমইউ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব। মূলত এর অধীনে বৌদ্ধপ্রধান দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এসএও) কর্তৃক বাংলাদেশের ভাসমান বাগান কৃষি পদ্ধতিকে গ্লোবালি ইমপরটেন্ট এগ্রিকালচারাল হেরিটেজ সিস্টেম হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, পানির ওপর কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান পদ্ধতিতে যে শাকসবজি চাষ করা হয়, সেটার স্বীকৃতি আমাদের জন্য বড় অর্জন।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার

এমআরআর  

Share