Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ-কচুয়া দুই উপজেলার মধ্যবর্তী সেতু হঠাৎ ভেঙ্গে পড়লো
সেতু

হাজীগঞ্জ-কচুয়া দুই উপজেলার মধ্যবর্তী সেতু হঠাৎ ভেঙ্গে পড়লো

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ টু কচুয়া দুই উপজেলার মধ্যেবর্তী বোয়াল জুড়ি খালের উপর বহু বছরের পুরনো সেতুটি দীর্ঘদিন বেহাল দশায় পরিনত ছিল। হঠাৎকরে গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে সেতুটির মাঝপথের অংশ ভেঙ্গে পড়ে যায়। তবে ঐসময় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইছাহাক মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সকাল বেলা হঠাৎকরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আর এতে করে রঘুনাথপুরের দুই পাড়ের মানুষের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলো।

ইতিপূর্বে এ সেতু দিয়ে দুই উপজেলার শত শত মানুষ চলাচল করছে অনেকটা আতংক নিয়ে। স্থানীয় পথচারীদের দাবি ছিল যেন অতি দ্রুত সরকার রঘুনাথপুর বাজারের এ পুরনো সেতুটি ভেঙ্গে নতুন করে আধুনিক ভাবে নির্মাণ করা হয়।

মূলত দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে সেতুটি গড়ে উঠায় সংস্কারে লেগেছে জটিলতা। যদিও রাস্তাসহ সেতুটির কোড পড়েছে কচুয়া উপজেলায় তবে ব্যবহারে আগ্রহ বেশী হাজীগঞ্জ উপজেলার মানুষের। বিষয়টি নিয়ে দুই উপজেলার এলজিইডির বিভাগ একে অন্যের উপর দায় চাপাচ্ছে। যে কারনে সংস্কার কাজে উদ্যোগ গ্রহন না করায় এভাবে বছরের পর বছর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল।

দেখা যায়, হাজীগঞ্জ টু মাছুয়াখালি দিয়ে ভয়ে যাওয়া এ বোয়ালজুড়ি খালের উপর গড়ে উঠেছে প্রায় ১৫ টি সেতু। তার মধ্যে পুরাতন হচ্ছে রঘুনাথপুর বাজারের উপর দুই উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি। ১৯৮০ সালে সেতুটি নির্মাণের পর আর কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। যে কারনে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে যায়।

রঘুনাথপুর সেতুটি দিয়ে বিশেষ করে হাজীগঞ্জ উপজেলার তারাপাল্লা, রাজাপুর, খিলপাড়া, পিরোজপুর গ্রামের মানুষ এখনো চলাচল করে আসতো। এদিকে কচুয়া উপজেলার রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কাদলা, দেবীপুর, বরিগাঁও, গুলবাহার, মুরাদপুর, তেঘুরিয়া, গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন এ সেতু দিয়ে।

স্থানীয় তারাপাল্লা গ্রামের ইছহাক বেপারী ও মুকলেছুর রহমান বলেন, দুই উপজেলার মানুষের চলাচলের পথ হচ্ছে এ রঘুনাথপুর সেতু। পুরাতন মডেলের সেতুটির মাঝপথে রড উঠে গর্ত আগে থেকে পড়ে ছিল। সরকারের চলমান উন্নয়নে এ সেতুতে কোন কাজ করতে দেখিনি। যে কারনে সেতুটির অস্তিত্ব ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাফস শীল বলেন, সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে যায় শুনেছি তবে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের লোক যেয়ে দেখে আসবে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪